জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমান। তিনিও বহুল আলোচিত ক্যাসিনো কাণ্ডের অন্যতম হোতা। সামান্য লাগেজ বিক্রেতা থেকে ক্যাসিনো ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এই আরমান।
ক্যাসিনো চালানোর তথ্য প্রকাশের পর আত্মগোপনে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সঙ্গে এনামুল হক আরমানকেও গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল রবিবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটের সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়।
আরমানের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে। বিএনপি সরকারের সময় হাওয়া ভবনেও তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। ঐ ভবনের জনৈক এক ব্যক্তির প্রভাবে তিনি রাতারাতি ফকিরাপুলের কয়েকটি ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করেন। ক্ষমতার পালাবদলে তিনি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সান্নিধ্য লাভ করেন। এ সময় তিনি সম্রাটের প্রভাবে মতিঝিল ক্লাবপাড়ার প্রায় ১০টি ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করেন। সম্রাটের প্রভাব খাটিয়ে তিনি ক্যাসিনো ব্যবসার নিয়ন্ত্রক বনে যান। পরে দুজনে মিলে এই ব্যবসার প্রসার ঘটান। তাই সম্রাট এই ব্যবসায় আরমানকে গুরু বলে মানতেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আলোচনায় ছিল যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম। প্রথম দুই-তিন দিন কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে নিজের কার্যালয়ে অবস্থান নিলেও একপর্যায়ে সেখান থেকেও লাপাত্তা হয়ে যান সম্রাট।
হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া আরমান চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন। ‘দেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়া’ নামের চলচ্চিত্র প্রোডাকশন হাউসের প্রধান কর্ণধার আরমান। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সম্প্রতি দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে তিনি কয়েক কোটি টাকা লগ্নিও করেছেন। এছাড়া গত ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ নামের সিনেমাটির প্রযোজকও আরমান। এটি আরমানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম ফিল্ম। এরপর শাকিব খানের বিপরীতে নবাগতা এক নায়িকাকে নিয়ে ‘আগুন’ নামের দ্বিতীয় ফিল্মের কাজও শুরু হয় আরমানের প্রযোজনায়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর বার্তা পেয়ে গেল মাসের মাঝামাঝিতে অভিযান শুরু করে র্যাব। রাজধানীতে ক্লাবের আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডানহাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরপরই ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্র্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।