বেরোবি প্রতিনিধি : নিজেই অফিস ফাঁকি দিয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান রোকন। এতে তার শাস্তি দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.ওয়াজেদ ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়মিত অফিস করার অভিযোগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা তা সরেজমিনে প্রদক্ষিণ করতে গেলে কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। এর একটি ভিডিও সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। এই ভিডিওতে দেখা যায়, কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান সহ তার সহকর্মীরা সাংবাদিকদের দেখে চড়াও হয়ে সবাই একত্রিত হয়ে তেড়ে আসেন। এবং এ সময় কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান রোকন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন কর মন্তব্য করেন। এই ভিডিও প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তার যথাযত শাস্তির দাবি জানান।
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ সহযোগী অধ্যাপক জাকিউর রহমান তার ফেসবুক ওয়ালে ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লিখেন, ২০২৩-২৪ GST পারিতোষিক সংক্রান্ত থলের বিড়াল অবশেষে বাইরে আসলো! মাসে মাসে শিক্ষক সমিতির চাঁদা কি এসব তামাশা দেখার জন্য দিচ্ছি!! ডিয়ার ফ্যালাস, “দেখেন আপনারা যেটা ভাল মনে করেন।”
পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক বিপুল হোসেন তার ফেসবুক ওয়ালে ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লিখেন, একজন কর্মকর্তার এরকম ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়! সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইমরানুল হাসান ইমন নামের এক শিক্ষার্থী মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ভিডিওর লোকটাকে বিচারের আওতায় আনা হোক।
শিক্ষার্থী রিপন আহামেদ লিখেন, কথা বার্তার টোন দেখে তো মনে চোর বাটপার এরা। জিজ্ঞেস করলে দুর্নীতিবাজদের গায়ে লাগে।
শিক্ষার্থী কেএম হিমেল আহামেদ লিখেন, এই বাটপারকে ইদানীং রিসার্চার/ গবেষক হিসেবে’সট’ দিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
এ বিষয়ে ভূগোল পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ সহযোগী অধ্যাপক জাকিউর রহমান জানান, একজন কর্মকর্তা হয়ে শিক্ষকদের নামে এরকম অপবাদ কোনভাবেই মেনে নেয়ার নয়। সব শিক্ষক তো এক না।বিষয়টা নিয়ে সব শিক্ষকরাই কনসার্ন। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টা অবগত করেছি। কি কারনে তিনি শিক্ষকদের নিয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য করলেন প্রশাসন এটার সঠিক জবাব না দিতে পারলে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিসংখ্যান বিভাগ সহকারি অধ্যাপক বিপুল হোসেন বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা ফিরে আনতে যায়। এমন মুহূর্তে তার(রোকনুজ্জামানের)ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা কোন ভাবেই কাম্য নয়।
তাঁকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতিকে অসম্মান, স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.শওকাত আলী বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আমরা আগামীকাল বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব। তাদেরকে অন্য জায়গায় বদলি করা হবে।
উল্লেখ্য, ড.ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন্সিটিউটের রিসার্চ অফিসার ড. রোকনুজ্জামান রোকন গবেষণার চেয়ে রাজনীতিতে বেশি সক্রিয় । এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে হয়েছেন জিয়া পরিষদ রংপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।