জুমবাংলা ডেস্ক : পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হাতে পাঁচ টাকা ধরিয়ে দিয়ে ‘রফা’ করেছিল জামির নামে এক যুবক। কিন্তু শিশুটির পরিবারের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাকে পাকড়াও করেছে। ওই যুবকের মা এবং ভাইকেও আটক করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চল নটাখোলা গ্রামে। প্রতিবেশী শেখ ছামিদের ছেলে শেখ জামির শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই শিশুর হাতে ৫ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
শিশুটি বাড়িতে গিয়ে কাঁদতে থাকলে নানির জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ পায়। পরে অভিযুক্ত জামিরের বাবা, মা ও ভাইকে ঘটনা জানালে তারা সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন। কিন্তু তিন দিনেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের পরামর্শে নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করাসহ পুলিশকে ঘটনা জানানো হয়।
হরিরামপুর থানার ওসি মুঈদ চৌধুরী জানান, পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চলে ওই শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। তিনদিন পর মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটির বাবা থানায় মামলা করেন। বুধবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, সন্ধ্যায় উপজেলার নটাখোলা এলাকা থেকে প্রধান আসামি জামিরের ভাই কামাল ও মা জয়গুন বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শেখ জামিরকে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।