জুমবাংলা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় সমুদ্র বন্দরগুলোর বিপদ সঙ্কেত নামিয়ে নিতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঝড়ের আগে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে যারা উঠেছিলেন, শনিবার বিকাল থেকে তারা ঘরে ফিরতে পারবেন বলে দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকা ১৬ লাখের বেশি মানুষ বিকাল নাগাদ তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে।
ঝড়ে বরগুনা, ভোলা ও নোয়াখালীতে মোট চারজনের মৃত্যু এবং বিভিন্ন জেলায় ৬৩ জন আহত হওয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
অতিপ্রবল ঘুর্ণিঝড় ফণী শনিবার সকালে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। দুপুরে এটি গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে টাঙ্গাইল-মংমনসিংহ অঞ্চলে অবস্থান করছিল বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়। এটি বৃষ্টি ঝরিয়ে আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোর বিপদ সঙ্কেত নামিয়ে শনিবার দুপুর থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তবে ঝড়ের কারণে বায়ুচাপের তারম্য এবং অমাবশ্যা সমাগত বলে উপকূলীয় জেলাগুলোতে দুই থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া কয়েক লাখ মানুষের বিপদ কেটে যাওয়ার কথা জানিয়ে তাদের ঘরে ফেরার বিষয়ে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে বলে আবহাওয়া বিভাগ জানায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।