জুমবাংলা ডেস্ক : বরাবর সরকারের কঠোর সমালোচক গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মুখে এবার সরকারের প্রশংসা শোনা গেছে। তিনি বিদ্যুৎ খাতসহ বেশ কিছু বিষয়ে সরকারের প্রশংসা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে ‘সচেতন নাগরিকদের দৃষ্টিতে ২০২১-২০২২ জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ প্রশংসা করেন তিনি।
অর্থনীতিবিদ ডা. রেজা কিবরিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল বক্তা ছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, এ সরকারের বড় সফলতা দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। এজন্য সরকার কৃতিত্বও পেতে পারে। সরকারের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। ৫ হাজার মেগাওয়াট থেকে শুরু করে সরকারের বারো বছরে তার ২৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে।
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, সরকারের আরেকটি ভালো উদ্যোগ হলো নারীদের জন্য ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত কর মওকুফ করা। এছাড়া ট্যাক্স হলিডে দিয়ে একটি স্বচ্ছ চিন্তার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের বড় ব্যর্থতা, পুলিশ ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট দিয়ে মানুষের জীবন-জীবিকাকে স্তব্ধ করে তাদের কণ্ঠরোধ করা। এমনভাবে কণ্ঠরোধ করা হয়েছে, এমনকি বিচারপতিরা পর্যন্ত বাকহারা হয়ে গেছেন।
৬ লাখ কোটি টাকার বাজেটের ১৮ শতাংশ আমলাদের জন্য বরাদ্দ উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমলাদের খুশি রাখতেই এমন বরাদ্দ রেখেছে সরকার। এর এক তৃতীয়াংশ বরাদ্দ কমানোর আহ্বান জানান তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বাজেটের ব্যাপারে আমলাদের খাতির করা হয়েছে। কারণ হলো ওনার পেশা। চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে উনি একটি শ্রেণিকে অনেক সুবিধা দিয়েছেন। আমলাদের বেতন অনেক বাড়ানো হয়েছে। গাড়ি কেনার জন্য ত্রিশ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয় তা মেইনটেইন করার জন্য। উপকার পেয়েছে উচ্চ শ্রেণি। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ কিন্তু মনোবৃত্তিটা পরিবর্তন হয়নি।
ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, বাজেট হওয়া উচিত নাগরিকদের জন্য। আমি বাজেটটি দেখার চেষ্টা করেছি অর্থমন্ত্রীর শ্রেণি চরিত্রের আলোকে। বাজেটের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার পেশা ও শ্রেণির প্রভাব পড়েছে। বাজেটে দুর্নীতিকে বহাল রাখার ফাঁক রয়ে গেছে। এটার উল্টাটা হওয়া উচিত ছিলে। তাদের সংসদে আসার আগে সবার সাথে আলোচনা করা উচিত ছিল। জনগণের মতামত নেওয়া উচিত ছিল।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যার আয় বছরে ৫ লাখ টাকা সেই ট্যাক্সের আওতায় আসা উচিত। আমার প্রস্তাব ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ফ্রি করে দেন। তার পর থেকে ক্রমবর্ধমান হারে ট্যাক্স নিতে থাকেন। তাহলে বেশি সংখ্যক মানুষকে ট্যাক্সের আওতায় আনা যাবে। মনে রাখা দরকার সরকারের মূল আয় আসে ভ্যাট থেকে। ওষুধের কাঁচামালের ওপর কর কমিয়েছেন। কিন্তু সেটা ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খালেদা জিয়ার আমলে ভুলের কারণে জনগণের এখানে ভোগান্তি হয়েছে। অগ্রিম ইনকাম ট্যাক্স দুর্নীতির একটি বড় কারণ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে লাভ হবে না, যদি না কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।