জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের সদ্য ভর্তি হওয়া একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলায় ঘুরতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মাঝেরপূল নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এঘটনায় ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী মঠবাড়িয়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ আজ সকালে মো. আবুবক্কর সাগর নামে এক আসামিকে চড়খালী ফেরিঘাট থেকে আটক করেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রী জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কাগজপত্র জমা দেন। জমা শেষে দুপুরে প্রতিবেশী সহপাঠী সোহাগ খান (২০) ও শাহাদাৎ (২১) নামে দুই সহপঠীকে নিয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিনপালা ইকোপার্কে ঘুরতে যাওয়ার জন্য মঠবাড়িয়ায় পৌঁছে। সেখান থেকে একটি ইজিবাইকে করে তারা হরিনপালার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দুপুরের সময় তাদের বহনকারী ইজিবাইক উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মাঝেরপুল নামক স্থানে নষ্ট হয়। এসময় অভিযুক্ত রানা, মারুফ ও সোহাগ তাদের জিম্মি করে। এরপর তাদের সাথে আরো কয়েকজন যোগ হয়। পরে তাদের সাথে থাকা সহপাঠী সোহাগ ও শাহাদাৎকে মারধর করে ওদের বেঁধে রাখে।
আসামিরা পরে স্থানীয় আর্শেদ মিয়ার বাড়ির সম্মুখে সরকারি পুকুর পাড়ে নিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে নিয়ে মারধর করে মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে তাদের দুজনকে নির্জনে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান মিলু বলেন, এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।