জুমবাংলা ডেস্ক : আতঙ্কিত হবেন না। সর্বদা সতর্ক থাকুন। আর অন্যকে সতর্ক রাখুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই করোনাভাইরাস (corona vioirus) থেকে মোকাবিলার একমাত্র উপায়। পরিবারের প্রত্যেক সদস্য যাতে নিজেদের মধ্যে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখেন সেই চেষ্টাও করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাজার করতে যাওয়া লোকজন কী ভাবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখবেন। সেই ব্যাপারে সাধারণ লোকজনকে সচেতন করছেন সীতাকুণ্ডের কালুশাহ এলাকার বাসিন্দারা।
রাস্তার উপরে তাঁরা গোল দাগ করে দিচ্ছেন এক মিটার অন্তর। বলছেন এক একটি বৃত্তে যেন একজন করেই দাঁড়ান। করোনাভাইরাস রুখতে এখন লক্ষ্মণ। চট্টগ্রামের আর কোথায় এরকম অবস্থা আর নেই। আমরা চেষ্টা করতেছি গোল দাগ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য। আমরাও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন (lockdown)। তবে ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকবে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকালে কালুশাহ এলাকায় ক্রেতা ও বিক্রেতার নিয়ম মেনে দাঁড়াতে সহায্য করল। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, ওষুধের দোকানে লাইনে ক্রেতাদের নিয়ম মেনে দাঁড়ানোর ব্যাপারে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন দোকানের বাইরে সাদা রঙ দিয়ে ১ মিটার অন্তর দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। কালুশাহ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে, এটা খুবই ভাল উদ্যোগ।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যে সব দোকান খোলা থাকবে তার বাইরে ক্রেতাদের নিয়ম মেনে লাইন করে দাঁড়ানোর জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ম মেনেই জিনিসপত্র কেনা ও বিক্রি করার জন্য সংশ্লিষ্ট দোকানের মালিক ও ক্রেতাদের সচেতন করা হয়েছে। কালুশাহ এলাকার আরেক বাসিন্দা আশরাফুরজামান রনি বলেন আমরা নিজেরা নিজেদের সচেতন করতে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানে এইরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্রেতাদের জন্য। এই ব্যবস্থা ক্রেতারা মেনে মানুষে মানুষে দুরত্ব বজায় রাখবেন। কালুশাহ এলাকার মেম্বার খুরশিদ আলম বলেন, আমাদের এই উদ্যোগ সারা বাংলাদেশের জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে বলে আমার আশা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।