সেই প্রাচীনকাল থেকেই সূর্যোদয়ের আগেই ঘুম থেকে ওঠা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বলে বিবেচিত হয়ে আসছে। প্রতিটি ধর্মেও এর তাগিদ রয়েছে। এ সময়ের প্রার্থনা, ধ্যান বা উপাসনা দেয় আলাদা রকমের মানসিক প্রশান্তি। এ সময় আকাশে দেখা যায় এক অন্য রকম দ্যুতি। সুবহে সাদেক বলি বা ব্রহ্মমুহূর্ত, প্রকৃতিও যেন প্রশান্ত থাকে এ সময়।
আলো-আঁধারির আভায় পাখিদের ঘুমভাঙা কিচিরমিচির, নাম জানা অথবা না–জানা ফুলের সুবাস মনে দোলা দিতে বাধ্য যে কারও। এ সময়ের বাতাসেও কী যেন আছে। বারান্দা বা বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়ালে সে সমীরণ পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে আকণ্ঠ পান করে নেওয়া যায়। কিন্তু গবেষণা বলে, শুধু এই ভালো লাগার অনুভূতি নয়, সূর্যোদয়ের আগে উঠলে মিলবে নানা উপকার।
ব্যায়ামের জন্য বেশি সময় পাওয়া যায়
সকালে উঠে পড়িমরি করে কর্মক্ষেত্রে ছোটার আগে ব্যায়ামের জন্য সময় বের করা কঠিন। আবার কর্মক্লান্ত শরীরে সন্ধ্যায়ও আর কিছু করা হয় না। ফলে ফিটনেসের খাতায় স্কোর হয় শূন্য। কিন্তু সুয্যিমামা জাগার আগেই গাত্রোত্থান করার অভ্যাস হয়ে গেলে এ সময় ব্যায়ামের জন্য আলাদা করে সময় বের করা সহজ। আর ভোরের বাতাসে বাইরে ইয়োগা করা বা হাঁটার মজাই আলাদা।
সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য ভোরে ওঠা
রাতে ঘুমিয়ে ভোরে উঠলে ত্বকে আসে বাড়তি সজীবতা। আবার এ সময় নিজের মতো করে কিছু সময় পাওয়া যায়। তাই ত্বকের যত্নও নেওয়া যায় অনায়াসে। ভোরে উঠলে হজম ও মেটাবলিজম ভালো থাকে, কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়। তাই এর প্রভাবেও ত্বকে প্রাণ ফিরে আসে। ডার্ক সার্কেলও বিদায় নেয়।
ভোরে উঠলে কর্মশক্তি মেলে বেশি
ভোরের পাখি গোত্রের মানুষদের নিদ্রাচক্র নিশিপেঁচকদের থেকে অনেক উন্নত হয়। আরামের ঘুম দিয়ে উঠলে শরীরে ঘটে নানা ইতিবাচক ঘটনা৷ উপকারী হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে, হৃদ্যন্ত্র ভালো থাকে, রক্তের সুগার থাকে নিয়ন্ত্রিত। রক্তচাপও কমে যায় ভালো ঘুম হলে। পেশিতে রক্ত চলাচল বেড়ে ও পেশি শিথিল হয়ে শক্তি ফিরে পায়। আর মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে ভালো ঘুমের পরে।
স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জন্য ভোরে ওঠা ভালো
ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠলে সকালে ঠিক করে নাশতা করার প্রবণতা বাড়ে। আর দেরিতে উঠলে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলতে ক্যাফেইন গ্রহণ এমনকি উপোস অবস্থাতেই বেরিয়ে যাই আমরা। তাই খুব ভোরে উঠলে সময় নিয়ে স্বাস্থ্যকর নাশতা বানানো ও খাওয়ার সুযোগ হয়। ক্ষুধাও পায় ঠিকঠাক। আর এ কথা এখন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষমাত্রই জানেন যে সকালে ভালোভাবে নাশতা খেলে শরীরে কর্মশক্তি মেলে। আবার একটু বেলা বাড়লেই স্ন্যাকসের নামে শিঙাড়া বা কেক-বিস্কুট খাওয়ার ইচ্ছা জাগে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।