স্পোর্টস ডেস্ক : ১৮ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। শুরুর ধকলে রানের চাকা স্লোথ হয়ে যায় টাইগারদের। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ টেস্টের আদলে খেলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
বল ও রানের ব্যবধান দ্রুত বাড়ছিল। দরকার ছিল বাউন্ডারির। নবম ওভারের এক পর্যায়ে ওভার প্রতি বাংলাদেশের প্রয়োজন দাঁড়িয়েছিল ৯ করে। মাইকেল লিস্ককে পরপর দুই ওভার সুইপ ও স্লগ সুইপ করে ছক্কায় ওড়ান মুশফিক।
মুশফিকের দুই ছক্কায় স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। স্বস্তি পান মুশফিকও। টানা ব্যর্থতার পর অবশেষে কাঙিক্ষত ফর্ম ফিরে পেলেন।
মুশফিককে সঙ্গ দিয়ে গেলেও ব্যাটে-বলে টাইমিং হচ্ছিল না সাকিবের শুরু থেকেই। ওভারে ১৮ রান নিয়ে আবার রিকোয়্যার্ড রান রেট আটের আশেপাশে নামিয়ে আনেন মুশফিক ।
৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর তখন ২ উইকেটে ৫২। কিন্তু এর কিছু পরেই সাকিব মেজাজ হারান। ১২তম ওভারের প্রথম বলে গ্রেভসকে ছক্কা হাঁকাতে যান। কিন্তু বেশ ক্লান্তিমাখা শট বাউন্ডারি পেরুতে পারেনি। দড়ির ঠিক আগেই দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন ম্যাকলিওড।
২৭ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। এর এক ওভার পরেই বাংলাদেশ সমর্থকদের আবার হতাশায় ডোবান গ্রেভস।
এবার তার শিকার সদ্য ফর্মে ফেরা মুশফিক। ৩৮ রানে উইকেটে থিথু হয়ে থাকা মুশফিককে সরাসরি বোল্ড করে দেন গ্রেভস। দুই ছক্কা ও এক চারে ৩৬ বলে ৩৮ রান করেন মুশফিক।
খেলার এ পর্যায়ে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন। ১৭.২ ওভারে ১০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এসময় মিডউইকেটে ছক্কা মারতে গিয়ে তালুবন্দি হন আফিফ। ১২ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনিও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।