জুমবাংলা ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূ সালমা আক্তারকে কু’পিয়ে র’ক্তাক্ত করার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এতে গৃহবধূর স্বামী সাবেক পুলিশ সদস্য আবুল কাশেমসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আহত সালমা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
বাদীর আইনজীবী সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম বলেন, নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক মো. শাহেনূর মামলাটি আমলে নিয়েছেন। তিনি মামলাটি তদন্তের জন্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগতি আদালতের বিচারক কাজী সোনিয়া আক্তারকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৯ নভেম্বর ধার্য তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাইফুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন ও মো. ফয়েজ আহম্মদ। তারা রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামের মৃ’ত শাহে আলমের ছেলে পুলিশ সদস্য আবুল কাশেমের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে সালমা আক্তারের বিয়ে হয়।
তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর কৌশলে সালমার কাছ থেকে কাশেম ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নেন। সে টাকা স্বামী এখনো পরিশোধ করেননি। হঠাৎ গত ২৯ আগস্ট সালমার কাছে কাশেম ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সালমাকে দা দিয়ে কু’পিয়ে ও এলোপাতাড়ি পি’টিয়ে র’ক্তাক্ত করেন আসামিরা।
সেই সঙ্গে গৃহবধূর পিঠ ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে কাশেম তাকে তালাক দেয়ার হু’মকি দেন।
মামলার বাদী সালমা আক্তার বলেন, যারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছে, তাদেরকে চুরির মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। থানা পুলিশকে প্রভাবিত করে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে আবুল কাশেম। তাই আমি মামলা করেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।