নিজস্ব প্রতিবেদক: আরও ২ হাজার ৭৪৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিগগির এমপিওভুক্ত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এর বাইরে অনুদান পেয়ে আসা ১ হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পুরোপুরিভাবে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে। এমপিওভুক্তির জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তা একটি জাতীয় গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তারা জানান, এমপিওভুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের জন্য সারসংক্ষেপ তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই ঈদের আগেই ঘোষণা হতে পারে। আর তা না হলে ঈদের পরে ঘোষণা হবে। তবে ঘোষণা যখনই হোক, কার্যকর হবে গত ১ জুলাই থেকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্ত হওয়া ২ হাজার ৭৪৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কুল ও কলেজ ১ হাজার ৭৬৩টি। এগুলোকে এমপিওভুক্ত করলে বছরে খরচ হবে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা। ৪৮৬টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও ৫১২টি মাদ্রাসা রয়েছে। এগুলো এমপিওভুক্তিতে বছরে খরচ হবে ৫৪০ কোটি টাকা।
এদিকে নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল ৮ বছর আগে ২০১০ সালের ১৬ জুন। সেদিন সারাদেশের ১ হাজার ৬০৯টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) এমপিওভুক্তি করা হয়। প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী তখন সরকারি বেতনের আওতায় এসেছিলো।
এমপিও নিয়ে মাউশির বিজ্ঞপ্তি জারি:
অন্যদিকে রবিবার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও পদ সৃজনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, ‘জানানো যাচ্ছে যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১২/০৬/২০১৮ তারিখে জারিকৃত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর ২৪ (ঘ) ধারায় উল্লেখ রয়েছে যে এ নীতিমালার আওতায় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পদে নিয়োগের বিষয়ে সরকার পৃথক আদেশ জারি করবে। এ প্রেক্ষিতে এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল/ স্কুল ও কলেজে-এ প্যাটার্নভুক্ত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পদগুলোতে নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রণালয় সুত্রোক্ত পত্র জারি করে।’
বৃদ্ধিপ্রান্ত পদগুলো হলো- সহকারী শিক্ষক, তথ্য ও প্রযুক্তি, সহকারী শিক্ষক ভৌত বিজ্ঞান, সহকারী শিক্ষক ব্যবসায় শিক্ষা, কম্পিউটার ল্যাব সহকারী, সহকারী শিক্ষক বাংলা, সহকারী শিক্ষক চারু ও কারুকলা, নৈশ্য প্রহরী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী।
শর্তসমূহ:
১) নির্ধারিত আর্থিক বছরের পূর্বে কোন পদের নিয়োগ কাফক্রম গ্রহণ করা যাবে না।
২) স্কুল/স্কুল এন্ড কলেজ-এ সরকার প্রদর্ত কম্পিউটার ল্যাব চালু আছে কিনা তা সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্রের দ্বারা নিশ্চিত হয়ে ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করবেন।
৩) বর্ণিত নতুন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পদে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ যথাযথ ভাবে অনুসরণ করতে হবে।
8) এ আদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুত্রোক্ত পত্র জারির তারিখ হতে কার্যকর হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।