জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় এক মামলায় আসামিপক্ষের অভিভাবক থেকে ৬৫ হাজার টাকা ও আত্মীয়ের মোবাইল নিয়ে নেন এক এসআই। এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পর ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ফেরত দিয়েছেন এসআই আবদুল্লাহ আল ফারুক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের মধ্যস্থতায় ওই টাকা ও মোবাইল ফোন ফেরত দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়নের মগডেইল এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে যৌনপীড়নের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ১০/৩০ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় একই এলাকার নাছির উদ্দিনের ছেলে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া দুই সহোদর শহীদুল ইসলাম, মো. শরীফ ও তাদের বন্ধু নুরুন্নবীকে।
এ মামলা রেকর্ডের পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতার না করা, ধারা কমিয়ে দেয়া ও এক ভাইকে বাদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চার দফায় ৬৫ হাজার টাকা আদায় করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুল্লাহ আল ফারুক।
তারপরও টাকার জন্য পিছু ছাড়ছে না আসামির পিতা নাছির উদ্দিনের- এমন অভিযোগ বিবাদীর পিতার। পরে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর এসআই ফারুক ৫০ হাজার টাকা এবং আত্মীয়ের মোবাইল ফোনটি ফেরত দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী নাছির উদ্দিন।
তিনি জানান, মামলা রেকর্ডের পর চার দফায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৬৫ হাজার টাকা নেয়। পরে আরও টাকার জন্য চাপ দিলে সাংবাদিকদের আশ্রয় নেয়া হয়। পরে সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ে ওই এসআইয়ের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি নিজেই ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ফেরত দেন।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, আসামির পিতার কাছ থেকে তৃতীয় একটি পক্ষ টাকাগুলো নিয়েছিল। পরে আমি (এসআই) নিজেই ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে দিয়েছি। পাশাপাশি মোবাইল ফোনটিও মালিকের কাছে ফেরত দিয়েছেন বলে জানান আবদুল্লাহ আল ফারুক।
কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. জালাল উদ্দিন বলেন, মামলার আসামির পিতা নাছির উদ্দিন ১৯ নভেম্বর রাতে আরও কয়েকজন লোক নিয়ে থানায় এসেছিলেন। তারা তাদের টাকা বুঝে পেয়েছেন বলে জানান। তবে বিষয়টি নিয়ে আর ঘাটাঘাটি না করার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন তিনি। সূত্র : যুগান্তর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।