জুমবাংলা ডেস্ক : সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পদ্মা নামেই ফরিদপুর বিভাগ হচ্ছে। এ খবরে ফরিদপুরের বিভিন্ন মহলে উচ্ছ্বাস ও উল্লাস দেখা গেছে।
পাশাপাশি ‘ফরিদপুর’ নামে বিভাগ না হওয়া আক্ষেপের দেখাও মিলছে।
আগামী রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রশাসনিক পুর্নবিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) সভায় এ বিষয়টি পাশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
১৯৮৫ সালে ফরিদপুরে গঠিত হয় ‘ফরিদপুর বিভাগ ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন কমিটি’। ওই কমিটি পরে ফরিদপুর উন্নয়ন কমিটি হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পর ওই কমিটি ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে আসছে।
এ নিয়ে ফরিদপুরে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। দীর্ঘ দিন পর সে দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। ‘পদ্মা’ নামে ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে; এ খবর শুনে ফরিদপুরের রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ আনন্দ ও উল্লাস প্রকাশ করেছেন।
ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি শিপ্রা গোস্বামী বলেন, আমাদের বৃহত্তর ফরিদপুর বিভাগ হবে এজন্য খুব খুশি। তবে ‘পদ্মা’ নামের জায়গায় ‘ফরিদপুর’ নামে হলে আরও বেশি খুশি হতাম। বিভাগকে পরিপূর্ণতা দেওয়ার জন্য ফরিদপুর সিটি করপোরেশন ঘোষণাসহ যা যা করার প্রয়োজন দ্রুত তার বাস্তবায়ন চাই।
ফরিদপুর উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আব্দুল আজিজ বলেন, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের খবর। আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। এখন বিভাগ হচ্ছে। বিভাগ হলে এ অঞ্চলের উন্নয়ন তরান্বিত হবে। এজান্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা বলেন, ফরিদপুরের মানুষ হিসেবে বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের দাবি দীর্ঘদিনের। আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হতে যাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। এ সিদ্ধান্তকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি ফরিদপুর নামটি গত চারশ বছর ধরে এ অঞ্চলের সাথে মিশে আছে। সে নামটি না থাকায় বেদনা অনুভব করছি।
ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সভাপতি আওলাদ হোসেন বলেন, এ খবরে আমরা অত্যন্ত খুশি। তবে ফরিদপুর একটি পুরনো জনপদ। বিভাগটা ‘ফরিদপুর’ নামে হলে আরও ভাল হতো। তারপরও বিভাগ হচ্ছে শুনে অত্যন্ত খুশী হয়েছি। আমাদের দাবি বিভাগীয় সদর দপ্তরসহ প্রতিটি সদর দপ্তর ফরিদপুর শহরে স্থাপন করা হোক। এ বিভাগে ফরিদপুর নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানাই। ফরিদপুরে আশেপাশের জেলা শহর থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে প্রতিদিন প্রচুর রোগী আছে সেক্ষেত্রে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা গেলে এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবা মান বাড়বে ও সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, এ সিদ্ধান্তের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই জানিয়েছিলেন। এখন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। জননেত্রীর জন্ম ফরিদপুরে, জাতির পিতার জন্মস্থল ফরিদপুর। বিভাগ গঠনের ক্ষেত্রে উনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই চূড়ান্ত। বিভাগ ঘোষণা হচ্ছে এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে খাটো করতে চাই না। ওনার নিজের জায়গা, যা করেছেন নিজে থেকেই করেছেন। এজন্য ফরিদপুরের জনগণ ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমি জেনেছি বিভাগীয় সদর দপ্তর ফরিদপুর শহরে হচ্ছে। এটি আমাদের একটি বড় পাওয়া। নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। ডিআইজি ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় নির্মিত হবে এর মাধ্যমে ফরিদপুর শহরে ঢেলে সাজানোর সুযোগ পাওয়া যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।