জুমবাংলা ডেস্ক : ট্রেন আসার সংকেত পাওয়ার পর রেলক্রসিংয়ের গেট খুলে না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গেটম্যানকে মারধরের ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার ব্যাখ্যা দিলেন কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস কাউছার আজিজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কাউসার আজিজ দাবি করেন, গত শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে একটি ট্রেন আউটার সিগন্যালে দাঁড়ানো অবস্থায় কুলিয়ারচর রেল স্টেশনের দক্ষিণ পাশের ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ করে দেয় গেটম্যান। ১টা ১৫ মিনিট বাজার পরও যখন গেট খুলছিল না তখন জুমার নামাজে অংশগ্রহণের জন্য রাস্তায় লোকজন ব্যস্ত হয়ে পড়েন এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
১টা থেকে ১টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তির কবলে পড়ে অসংখ্য মানুষ। এ সময় আমিও সেখানে গাড়িতে বসা ছিলাম। তখন গেটম্যানকে ডাকাডাকি করলেও গেটম্যানকে পাওয়া যায়নি। গার্ড রুমে তখন কম বয়সী একটি ছেলে দাঁড়ানো ছিল।
ইউএনও বলেন, ট্রেন আসতে বিলম্ব হচ্ছে দেখে সাধারণ মানুষের সমস্যা উপলব্ধি করে আমি আমার অফিস সহায়ক হিমেল মিয়াকে গেটম্যানের সঙ্গে কথা বলার জন্য পাঠাই। তার ডাকে পার্শ্ববর্তী বাসা থেকে গেটম্যান সিফরাত হোসেন বের হয়ে আসে। তখন আমার অফিস সহায়ক হিমেল মিয়া গেটম্যানকে গাড়ির কাছে ডেকে নিয়ে আসে।
আমি গাড়িতে বসা অবস্থায় গ্লাস খুলে গেটম্যানকে ট্রেন আসতে বিলম্ব হচ্ছে কেন- সে বিষয়ে জানতে চাইলে গেটম্যান সিফরাত হোসেন আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। এতে আমি আমার অফিস সহায়ককে উক্ত ব্যক্তির নাম ঠিকানা নেয়ার জন্য বলি। তারপর ট্রেন চলে যাওয়ায় গাড়ি নিয়ে তাৎক্ষণিক কর্মস্থলে চলে আসি।
ইউএনও আরও দাবি করেন, আমি গাড়ি থেকে নামিও নাই এবং তার সঙ্গে কোনো মারধরের ঘটনাও ঘটে নাই। কিন্তু বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রচারিত উক্ত সংবাদের বিষয়ে এবং ভৈরব জিআরপি থানার জিডি নং ৩৭২, তারিখ- ১১/১১/২০১৯ মূলে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ দেখতে পাই। আমি দাখিলকৃত মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি নামক স্থানে গেটম্যান সিফরাত হোসেন দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এসময় চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসার সংকেত পেয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ছয়সূতি-কুলিয়ারচর এলাকার মধ্যবর্তী নিরাপত্তা গেট নামিয়ে দেন গেটম্যান।
এতে সাময়িক সময়ের জন্য সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িটি আটকা পড়ে।
এ সময় ইউএনও এবং তার চালক গাড়ি থেকে থেমে গেটম্যানকে বকাবকি শুরু করেন। তখন সিফরাত ইউএনওকে দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেন এবং বলেন গাড়ি আসার সংকেত পেয়ে নিরাপত্তা গেট নামিয়েছেন।
একথা বলার পরও ইউএনও গেটটি খুলে দিতে বলেন। তখন গেটম্যান নিরাপত্তা গেট না তোলায় ইউএনও কাউসার আজিজ ও তার চালক তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে ইউএনও গেটম্যান সিফরাতকে গালিগালাজ ও মারধর করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।