জুমবাংলা ডেস্ক : গলায় গলায় ভাব। হওয়ারই কথা। সম্পর্কে তারা চাচাতো বোন। একসঙ্গেই বেড়ে উঠা। স্কুল জীবন একইসঙ্গে। কলেজে গিয়েও ভাগ্যক্রমে একই প্রতিষ্ঠান। এইচএসসি’র ফলাফলেও তারা প্রায় কাছাকাছি। যেন তিন বোনের এক ছবি মেধা, লাবন্য আর প্রীতি।
ওরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের খান পরিবারের সন্তান। ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে অংশ নিয়ে মেধা ও প্রীতি জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর লাবণ্য পেয়েছে ৪.৮৩। তবে আখাউড়ার দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তাদের প্রত্যেকেই জিপিএ-৫ পায়।
নূরে জান্নাত লাবণ্য এর বাবা কামাল আহমেদ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা। প্রভাষক জাবেদ আহমেদের মেয়ে হলো তাসনিম জান্নাত মেধা। আর তোফাতুল জান্নাত প্রীতি হলো সাংবাদিক বাদল আহম্মেদের মেয়ে।
তিন চাচাতো বোনের এমন সাফল্যে পরিবারের সবাই খুশি। তারা অপেক্ষায় আছে সন্তানেরা ভালো কোনো বিশ^ বিদ্যালয়ে সুযোগ পাবে। দেবগ্রামের খানের পরিবারের অনেকেই বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত। পরিবারটি শিক্ষার দিক দিয়ে বেশ সচেতন।
সাংবাদিক বাদল আহম্মেদ তাঁর মেয়েসহ ভাতিজিদের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে তারা ঢাকায় গিয়ে পড়াশুনা করতে একটুও কার্পণ্য করেনি।
সন্তানদের মায়েরাও মেয়েদের সাফল্যের ক্ষেত্রে বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে। সকলের শিক্ষকদের প্রতিও আমাদের খান পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মো. মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘ওই তিন বোনই এসএসসিতে ভালো ফল করে। আমি তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। দোয়া করি তারা যেন পরিবারের মুখ উজ্জল করে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।