জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর কর্ণফুলী গার্ডেন সিটিতে দুইটি স্বর্ণের দোকান থেকে চুরি হওয়া ৭০০ ভরি স্বর্ণের মধ্যে ২২১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শহীদ মাতব্বর ওরফে শাহিন, শৈশব রায় ওরফে সুমন ও তাঁতীবাজারের ক্ষুদ্র স্বর্ণ ব্যবসায়ী উত্তম কুমার সুর। ডিবি বলছে, চুরির পর পালানোর সময় কিছু স্বর্ণ চোরদের কাছ থেকে পড়ে যায়। পরে হীরার গয়না ইমিটেশন ভেবে ফেলে দিয়েছে তারা। কিছু স্বর্ণ উত্তম কুমারের দোকানে রেখেছিল, বাকি স্বর্ণ বিক্রি করেছে তারা। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান। এর আগে, গত রবিবার ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানা এলাকা থেকে শাহিনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার থেকে ধারাবাহিক অভিযানে বরিশাল ও রাজধানীর শাঁখারিবাজার এলাকা থেকে বাকি দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।
হাফিজ আক্তার বলেন, এই চুরির নেতৃত্ব দেয় শাহিন মাতব্বর। তবে শাহিন ও শৈশব ঢাকায় আসে চুরির ঘটনার ১৫ দিন আগে। তাদের তাঁতীবাজারের কল্পনা বোর্ডিংয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেয় উত্তম। এছাড়া চুরির জন্য যা টাকাপয়সা খরচ হয়েছে তাও বহন করে উত্তম। তারা ঐ বোর্ডিংয়ে থাকার সময় উত্তমকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে রেকি করে। পরে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনে হওয়ায় তারা কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি মার্কেট বেছে নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী মার্কেটের দুইটি দোকানে চুরি করে।
কাওয়াই দ্বীপে জমি কিনলেন জাকারবার্গ
তিনি বলেন, চোরদের ফেলে যাওয়া ২২ ভরি স্বর্ণ রমনা থানায় জমা পড়েছে। আর যদি কেউ স্বর্ণ বা হীরার গহনা কুড়িয়ে পেয়ে থাকেন তাহলে থানা বা ডিবি অফিসে জমা দেওয়ার অনুরোধ করছি। যদি কেউ স্বেচ্ছায় জমা না দেয়, তাহলে তদন্তে বেরিয়ে আসলে চোরাই মালামাল রাখার দায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা তদন্তকালে দেখেছি, কল্পনা বোর্ডিংয়ে চোররা যে উঠেছিল তারা কোনো ধরনের নাম এন্ট্রি করেনি। কিন্তু ডিএমপি থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে হোটেলে নাম এন্ট্রি করার। কল্পনা বোর্ডিংয়ে তাদের নাম এন্ট্রি করা থাকলে আমরা তাদের আরো সহজে ধরতে পারতাম। তবে এ বিষয়ে আমরা কল্পনা বোর্ডিংয়ের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আরেকটি বিষয় বলে রাখতে চাই যেসব দোকানিরা চোরাই স্বর্ণ কিনেন তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মার্কেটের কেউ চোরদের সঙ্গে জড়িত আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো কারো নাম আমরা পাইনি তবে বিষয়টি তদন্ত করছি। উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর ভোর রাতে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি মার্কেটের মোহনা জুয়েলার্স ও বেস্ট এন্ড বেস্ট ক্রিয়েশন জুয়েল অ্যাভিনিউ জুয়েলার্স নামক দুটি স্বর্ণের দোকান থেকে ৭০০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়। ঐ দিন ভোরে গ্রেফতারকৃত চোররা কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি মার্কেটের পিছনের নির্মাণাধীন বিল্ডিং দিয়ে ৪র্থ তলার বাথরুমের এগঞ্জোস্ট ফ্যান খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। গ্রেফতারকৃতরা চুরির ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে ডিবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।