ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ে এতটা দীর্ঘ পরিসরে নির্মাণ করা হয়েছে যে আপনি এখানে একবার ভ্রমণ করলে মনে হবে পৃথিবীর সমস্ত রূপ উপভোগ করে ফেলেছেন। এটিকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। এটি চীন, মঙ্গোলিয়া এবং উত্তর কোরিয়াকে মস্কোর সাথে যুক্ত করেছে।
পুরো ভ্রমণ বিরামহীনভাবে শেষ করতে সময় লেগে যাবে সাত থেকে আট দিন। প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই এত বড় রেলওয়ে নেটওয়ার্ক নির্মাণ করা হয়। সাইবেরিয়ার সাথে মস্কর যোগাযোগ রক্ষা করা এবং পণ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে এ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব ছিল।
রাশিয়ার ভ্লাদিভস্টক বন্দরের সাথে মস্কোর নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখতে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। তবে বৈকাল হ্রদের নিকট রেলের অংশটি নির্মাণ করতে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
শরণার্থী, অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক, কৃষক, দিনমজুর সবাই এ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিল। এটি প্রায় কয়েকশো শহরকে যুক্ত করেছে। এ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক বেইজিং এর সঙ্গেও যুক্ত হয়েছে। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো একটি ট্রেন উত্তর কোরিয়া যাত্রা শুরু করেছিল।
১৯০৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রী ভ্রমণ শুরু করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯১৬ সালে এটি যাত্রা শুরু করে। পুরো রেলওয়েতে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ করে ফেলা হয়। বর্তমানে পুরো রেলপথটি মাত্র সাত দিনে অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। রুশ সরকারের বিশাল বাজেটের উন্নয়ন কাজের জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে।
এটি প্রতি ঘন্টা ১০০ কিলোমিটার এর বেশি বেগে চলাচল করতে পারছে। কারগো আদান-প্রদান করা প্রধান উদ্দেশ্য হলেও পর্যটকদের কাছে এ রেলওয়ে নেটওয়ার্কটি বেশি দুর্দান্ত। ভ্রমণ পিপাসুদেরও তৃষ্ণা মেটানোর জন্য এখানে যাত্রীবাহী ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সর্বনিম্ন ১১৪ পাউন্ড খরচ করে ভ্রমণ করা সম্ভব হবে। লাইব্রেরী, জিমনেসিয়াম, মনোরম রেস্তোরাঁ সবকিছু উপভোগ করা যাবে ট্রেনের মধ্যে। বছরের যেকোন সময় আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন। শীতকালে ট্রেনের ভিতরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।