চিয়া সিড ও ডাবের পানি আলাদা আলাদাভাবেই সুপার ফুড। দুইয়ের সমন্বয়ে তা হয় আরও বেশি কার্যকর। চিয়া সিডসমৃদ্ধ ডাবের পানিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ইলেকট্রোলাইট ও পর্যাপ্ত ফাইবার, যা আমদের শরীরকে আর্দ্র রেখে পানিশূন্যতা রোধ করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
প্রদাহজনিত সমস্যা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। এতে থাকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের মতো প্রোটিন উপাদান, রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা কোষকে রক্ষা করে। ডাবের পানিতে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, যা পেশির কার্যকারিতাকে ত্বরান্বিত করে।
এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরে উদ্দীপনা বাড়ায়। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট গুণাবলি দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে প্রশমিত করে। হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়াকে দারুণভাবে সচল রাখে, ত্বকের স্বাস্থ্যকে ভালো থাকে, খুব কম ক্যালরি থাকায় তা সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
এদের সমন্বয়ে যে পানীয়, তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, খুবই উপকারী মিনারেল, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে, যা ভারী ব্যায়ামের পর দারুণ টনিক ড্রিংকস হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত এই পানীয় পানে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিডনির পাথর জমা প্রতিরোধ করে।
চিয়া সিড ও ডাবের পানির সমন্বয় দেহের শক্তির জোগান দিয়ে সারা দিন আপনাকে উৎফুল্ল রাখবে। যাঁরা দুর্বলতায় ভোগেন, তাঁদের জন্য এই পানীয় দারুণ কাজ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক থেকে দেড় কাপ ডাবের পানির সঙ্গে ১ টেবিল চামচ চিয়া সিড প্রতিদিনের জন্য সঠিক পরিমাণ। আপনি চাইলে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে এর স্বাদ আরও বাড়বে। খুব ভালো ফল পাওয়া যায় যদি চিয়া সিড ডাবের পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখা হয়।
এই পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকায় তা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে প্রশমিত করে। প্রতিদিন এই পানি পান করলে তা হজম ক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করে। কারণ, এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। ডাবের পানি এমনিতেই কিছুটা মিষ্টি, চিয়া সিড স্বাদহীন। এই দুইয়ের সমন্বয়ের পানীয় প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পান করলে আপনি থাকতে পারেন সারাদিন সজীব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।