আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, তার দেশের সাম্প্রতিক সপ্তাহব্যাপী সহিংসতা ও লুটপাট ছিল ‘পূর্বপরিকল্পিত’। তিনি শুক্রবার ওই সহিংসতার মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত কাওয়াজুল-ন্যাটাল প্রদেশ সফরে গিয়ে এ মন্তব্য করেন। খবর পার্সটুডে’র।
সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকম জুমাকে আদালত জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিলে দেশজুড়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শত শত দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রেসিডেন্ট রামাফোসা বলেন, “এসব সহিংসতা ও লুটপাট পেছন থেকে উসকে দেয়া হয়েছে। কিছু সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি এসবের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছে।” অবশ্য তিনি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করেননি কিংবা কোনো বিদেশি শক্তির ইন্ধন থাকারও ইঙ্গিত দেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা তাদের বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। আমরা দেশে কোনো অবস্থায় নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সহ্য করব না।” এর আগে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার ঘোষণা করেছিল, সাম্প্রতিক গোলযোগে উসকানি দেয়ার দায়ে একজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে এবং আরো ১১ জনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
গত ৮ জুলাই সাবেক প্রেসিডেন্ট জুমাকে কারাগারে পাঠানোর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য শুরু হয়। পরবর্তীতে এসব সহিংসতায় দৃশ্যত দেশটিতে দারিদ্র ও শ্রেণিবৈষম্যের বিরুদ্ধে পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে দেখা যায়। গত দেড় বছর ধরে করোনাভাইরাসের প্রকোপে দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।