জুমবাঙলঅ ডেস্ক: চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের শাকুয়া দিঘী গ্রাম এলাকার কাতল বিলে বহুদিন পর জলজ ফুলের রানি পদ্মফুল ফুটেছে। গত বছর তাড়াশের মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের দোবিলা বিলে পদ্মফুল ফুটেছিল মাত্র কয়েকটি। স্থানীয়ভাবে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে চলনবিলে ভ্রমণ পিপাসুদের পদ্মফুল না তোলার জন্য।
এদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাবরিনা নাজ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মো. জামাল ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল অবধি চলনবিল নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি সেই সময়ে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশের বিভিন্ন এলাকায় পদ্মফুল দেখেছিলেন। তারপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকরা আর কোনো পদ্ম দেখতে পাননি।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর বেলায় দেখা যায়, শাকুয়া দিঘী গ্রামের উত্তরের বিস্তীর্ণ মাঠের কাতল বিলে অসংখ্য পদ্মফুল ফুটে আছে। পাপড়ি ঝড়ে পড়েছে কিছু ফুলের। কোনোটির কলি থেকে ফুল ফুটে বের হচ্ছে। এ যেন নয়নাভিরাম প্রকৃতির এক রূপ!
শাকুয়া দিঘী গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুস সালাম বলেন, কাতল বিলে এবারেই প্রথম পদ্মফুলের দেখা মিলেছে। লোকজন এতে খুব খুশি। আশপাশের গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে পদ্মফুল নষ্ট না করার জন্য লোকজনকে অবগত করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির তাড়াশ উপজেলা শাখার আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, বস্তুত নানা কারণে চলনবিলের জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। আগের মতো বিলে পানি থাকলে হয়তবা পদ্মফুলের শোভা ছড়িয়ে পড়তো গোটা চলনবিলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।