স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলে শনিবার (২১ আগস্ট) ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী হলো দর্শক। ব্রাদার্স ও শেখ জামালের ম্যাচে মারামারিতে জড়িয়েছে দুই দলের খেলোয়াড়রা।
ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হয় গোলশূন্য ব্যবধানে। ইনজুরি সময়ের খেলা চলছিল। একটি ফাউল নিয়ে শেখ জামালের ফুটবলাররা ব্রাদার্সের ফুটবলারদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান। কিছুক্ষণ পর খেলা পুনরায় শুরু হয়। শেখ জামাল ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে কর্ণার পায়। সেই কর্ণার নেওয়ার আগেই রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান।
এতে শেখ জামালের ফুটবলাররা ক্ষিপ্ত হন। রেফারি ভুবন মোহন তরফদারকে ঘেরাও করেন। খেলা শেষে ড্রেসিং রুমে যাবার সময় এক দর্শক শেখ জামালের ফুটবলারকে গালি দিলে, সেখানেও তুমুল মারামারি বাধে। কিন্তু মাঠে পুলিশ সংখ্যা খুবই কম থাকায় পরিস্থিতি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
তবে এক ম্যাচে এত সব কাণ্ড ঘটলেও কোনো নিরাপত্তাকর্মীকে দেখা যায়নি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে। তবু ভাগ্য ভালো, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ কী শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয় তাই এখন দেখার বিষয়।
এদিনের ম্যাচে ড্র করেও ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে শেখ জামাল। তাদের ম্যাচ বাকি দুটি। অন্যদিকে, ২ ম্যাচ বাকি থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৪৩ এবং মোহামেডানের ৪০।
দিনের আরেক খেলায় চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে মোহামেডান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই মোহামেডানের ওপর চড়াও হয়ে খেলে চট্টগ্রাম আবাহনী। কারণ শেষ ম্যাচেই রহমতগঞ্জের কাছে হেরে জয়ে ফিরতে মুখিয়ে ছিল চট্টলার দলটি।
৬ মিনিটেই রাকিব হোসেনের ফ্রি কিকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন চার্লস দিদিয়ের। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে মোহামেডান সমতায় ফেরে ২২ মিনিটে। গোল করেন জাফর ইকবাল। তবে স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি সাদা-কালোদের। তিন মিনিট পরই দিদিয়েরের পাসে গোল করেন চেনিডু ম্যাথিউ। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী।
পিছিয়ে থেকে মোহামেডান গোল করার প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছে। দুই উইং দিয়ে আক্রমণ চালিয়ে গেছেন সাদা-কালো জার্সিধারীরা। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার শওকত রাসেলের হ্যান্ডবল হওয়ায় পেনাল্টি পায় মোহামেডান। কিন্তু এ যাত্রায় ব্যর্থ হয় তারা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি দিয়াবাতে। তার দুর্বল শট বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাইম।
মোহামেডানের আক্রমণের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম দিয়াবাতে। লিগে এ পর্যন্ত মোহামেডান প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ৩৪ গোল, এর ১৩টি গোলই দিয়াবাতের। তবে এদিন দিয়াবাতেকে বেশির ভাগ সময়ই কড়া নজরে রাখেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডাররা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মোহামেডান আক্রমণ বাড়ায়। এই আক্রমণে দিশেহারা হয় চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডাররা। যার ফলে বিরতির পর ছয়টি কর্নার আদায় করে মোহামেডান। ভাগ্যের সহায়তায় আবারও সমতায় ফেরে মোহামেডান। শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। দুবার লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত জয় পায়নি চট্টগ্রাম আবাহনী। ফলে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু’দল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।