জুমবাংলা ডেস্ক : মামলা নেওয়ার সময় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে। আর বাদীর কাছ থেকে এই টাকা নিয়ে দেন কনস্টেবল এমদাদ। এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ও কনস্টেবল এমদাদকে সামায়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাঁকনহাটি গ্রামের আসাদুজ্জামান লুলুর পৈতৃক জমিতে পানের বরজ, ফলজ বাগান ও পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছিল। এর মালিকনা নিয়ে প্রতিবেশী নয়ন মিয়ার পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে লুলুর বাড়িঘর ভাঙচুর করে জমিজমা দখলের চেষ্টা করে নয়ন ও তার দল। এ ঘটনায় আসাদুজ্জামান লুলু ২১ অক্টোবর ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওসি এ অভিযোগ আমলে না নিয়ে বাদীকে ফিরিয়ে দেন।
এরপর নয়ন ও তার দল লুলুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে গাছপালা কেটে নিয়ে যায়। এমনকি জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে দখলে নেয়। এ ঘটনার পর লুলু ও তার চাচাতো ভাই থানায় গিয়ে ওসিকে ফের ঘটনাটির বিচার চাইলে তিনি (ওসি) ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। পরে লুলু ১৭ হাজার টাকা কনস্টেবল এমদাদের মাধ্যমে ওসির হাতে পৌঁছে দেন।
এ ব্যপারে লুলু সংঘুব্ধ হয়ে ওসি উৎকোচ নিয়েছেন এমন অভিযোগ এনে ময়মনসিংহ গত ২৫ অক্টোবর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল সাখের হোসেন সিদ্দিকীকে দায়িত্ব দেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেন।
এ বিষয়ে সাখের হোসেন সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রশাসনিক স্বার্থেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যাহারকৃত ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ দাবি করেন, এলাকার কিছু লোকের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।