
জুমবাংলা ডেস্ক: চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া জি কে শামীমের নাম দলের কোনো কমিটিতে নেই বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে জি কে শামীমের নানা অপকর্ম চালানোর খবর প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন বক্তব্য দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ জেলা কিংবা মহানগর আওয়ামী লীগের তালিকায় জি কে শামীম নামের কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব নেই। ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট অনুমোদিত নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির অনুলিপি দেখিয়ে তিনি বলেন, এখানে জি কে শামীম নামে কেউ নেই। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতাই নেই।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, জি কে শামীমকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য খবর পরিবেশিত হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সত্য নয়। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়– এমন কোনো তথ্য প্রকাশের আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য যাচাই এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধও জানান তিনি।
‘টেন্ডার শামীম’ নামে পরিচিত জি কে শামীম শুক্রবার দুপুরে র্যাবের অভিযানে রাজধানীর নিকেতনের নিজ অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, মদ ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন। শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
জি কে শামীম এক সময় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ডান হাত ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভোল পাল্টে যুবদল ছেড়ে যুবলীগের দিকে ভেড়েন। পরে নিজেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পরিচয় দিতে শুরু করেন। ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ে সরকারি কাজের টেন্ডার বাগিয়ে নিতেন তিনি। ছয়-সাতজন অস্ত্রধারী দেহরক্ষী নিয়ে চলতে শুরু করায় আলোচনা-সমালোচনাও হয় তাকে নিয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।