জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনীতে আবদুর রহমান (২১) নামে এক রোহিঙ্গা যুবকদেক আ’টক করে পুলিশে দিয়েছে জনশক্তি রপ্তানি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ বুধবার দুপুরে ফেনীর মহিপালে জনশক্তি রপ্তানি অধিদপ্তরে আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট) দিতে গিয়ে হাতে-নাতে ধরা পড়েন ওই যুবক।
জনশক্তি রপ্তানি অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন জানান, বিদেশ যাওয়ার জন্য নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার এক সাংবাদিকসহ ওই অফিসে পাসপোর্ট নিয়ে আঙ্গুলের ছাপ দিতে আসেন আবদুর রহমান। এ সময় ওই সাংবাদিক তাড়া আছে বলে দ্রুত কাজটি করে দিতে কর্মকর্তাদের চাপ দেন। পরে কর্মকর্তারা আবদুর রহমানের নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করলে বুঝতে না পারায় তাকে রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই সাংবাদিকসহ আরও দুইজন সটকে পড়েন। পরে তাকে আ’টক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, তার প্রকৃত নাম আবদুল্লাহ। কিন্তু ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই পাসপোর্টে (বিআর ০৬৮৭৪৪৩) তার নাম আবদুর রহমান, বাবার নাম মো. জাহান ও মায়ের নাম নুর জাহান লেখা হয়েছে। ঠিকানা লেখা হয়েছে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই রোহিঙ্গা যুবক জানান, গত বছর দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা দিয়ে পাসপোর্টটি করান তিনি। পরে ওই দালালদের মাধ্যমে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য এখানে আঙুলের ছাপ দিতে আসেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আ’টক রোহিঙ্গা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।