জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় দেওয়া হবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। আজ বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে মামলার ১ নম্বর আসামি রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজীসহ কারাগারে থাকা ৮ আসামিকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের স্বজনদের দোয়া-দরুদ পড়তে দেখা গেছে।
১০ আসামির মধ্যে একজন পলাতক আছেন। নয়ন বন্ড নামে অপর আসামি বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর আগে সকালে মামলার ৭ নম্বর আসামি নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিও আদালতে হাজির হয়েছেন।
আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়ার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে আসামিদের স্বজনরা আজ আদালতে ঢুকতে পারেননি। তবে আদালতের আশেপাশেই অবস্থান করছেন তারা। তাদের মধ্যে প্রায় সবাইকেই বাইরে দাঁড়িয়ে দোয়া-দরুদ পড়তে দেখা গেছে।
মামলার আসামি কামরুল ইসলাম সাইমুন নির্দোষ দাবি করে তার বাবা বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি- যাতে সাইমুন খালাস পায়। আমার ছেলে আসলেই নির্দোষ। আমি তার মুক্তির জন্য সবার দোয়া চাই।’
আজ বুধবার সকাল থেকে জজ আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। আদালত পাড়ায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের তল্লাশি করে আদালত চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান সকাল সোয়া ৭টার দিকেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে এসেছেন।
বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম ওরফে সাইমুন।
সকাল ৯টার আগে আগে রিফাতের স্ত্রী এ মামলার অন্যতম আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার বাবা মোজাম্মেল হক কিশোরের মোটরসাইকেলে করে আদালতে উপস্থিত হন। মামলার আসামিদের মধ্যে কেবল তিনিই জামিনে আছেন।
মামলার বাদী রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফসহ তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যও রায়ের জন্য উপস্থিত হয়েছেন আদালতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।