স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে বড় পরিবর্তন আনলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশ্বকাপ মিশন শেষ হতেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন বোর্ড কর্তারা। জাতীয় দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস, পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালস, স্পিন কোচ সুনিল যোশি ও ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে বিদায় করার ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি। এই মুহূর্তে ক্রিকেট প্রেমীদের নজর কেবল প্রধান কোচকে ঘিরে। স্টিভ রোডসের বিদায়ের পর কে হাল ধরবে প্রধান কোচের এই প্রশ্নটি এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র।
স্টিভ রোডসের অধ্যায় শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন কোচ খুঁজতে হচ্ছে বিসিবিকে। আগামী ২৮ জুলাই থেকে শ্রীলঙ্কায় শুরু হতে যাওয়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অংশ নিতে স্থানীয় কোচের উপরই নির্ভর করতে হবে বাংলাদেশ দলকে।
এরপরই ভারতে সফর টাইগারদের। আগামী নভেম্বরে স্থানীয় কোচ নিয়েই ভারতে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাবে লাল-সবুজের দল। এরপর আর স্থানীয় কোচ নির্ভর থাকবে না বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিদেশি কোচ কে হচ্ছেন এনিয়ে বিসিবি এখন সরব।
এই মুহূর্তে বিসিবি অফিসে আলোচনা হচ্ছে লঙ্কান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে। হেড কোচ হিসেবে তাকে ফিরিয়ে আনতে চায় তারা।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের হেড কোচ হিসেবে হাথুরুর অবস্থা এখন নড়বড়ে। যেকোনো সময় তাকে বরখাস্ত করা হতে পারে। নতুন হেড কোচ খুঁজছে লঙ্কান বোর্ডও। এবারের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের বাজে পারফরমেন্সের কারণে হাথুরুর উপর সন্তুষ্ট নয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। তবে হাথুরুসিংহের সঙ্গে লঙ্কান বোর্ডের চুক্তির ১৬ মাস এখনও বাকি। এই সময়টা লঙ্কান দলের সঙ্গেই কাটাতে চান তিনি। এই সময়টুকু বিসিবিকে অপেক্ষা করতে হবে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তবে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর টাইগারদের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে যোগ দেন শ্রীলঙ্কা দলে। এই কোচের অধীনে নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। ১৭ টেস্টে জিতেছিল ৫টিতে, হেরেছিল ৮টি আর ড্র করেছিল ৪টি টেস্টে। এদিকে ৫১ ওয়ানডেতে টাইগারদের জয় ছিল ২৫টি, পরাজয় ২৩টি ম্যাচে আর বাকি তিনটি ম্যাচ ছিল পরিত্যক্ত। এর বাইরে টি-টোয়েন্টিতে ২৯ ম্যাচে টাইগাররা জয় পায় ১০টিতে।
তার এই অতীত পারফরমেন্স বিবেচনায় রেখেই বিসিবির কর্মকর্তার আবারও চাইছেন হাথুরুসিংহের হাতে বাংলাদেশ দলকে কুলে দিতে। তবে কয়েকজন পরিচালক হাথুরুর বিরুদ্ধে। তারা বলছেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই স্ব-ইচ্ছায় চলে যাওয়া ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনা সমীচীন হবে না।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ক্রিকেটের জন্য যেটা ভালো হবে বোর্ড সেটাই করবে। হাথুরুর অতীত পারফরমেন্স বিবেচনায় নিয়ে দলের কোচের দায়িত্ব দেয়া হলে অসুবিধা কোথায়? এখানে কারো বাধা বড় বিষয় নয়। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই হাথুরুর সঙ্গে বিসিবি থেকে যোগাযোগ করবে।
আমার মনে হয় তিনি হাথুরুও চাইছেন আবার বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিতে। পারিশ্রমিকের ব্যাপারে প্রধান নির্বাহী বলেন, শুনেছি লঙ্কান বোর্ড থেকে হাথুরু প্রতি মাসে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বেতন পাচ্ছেন। বাংলাদেশের দায়িত্ব নিলে এই বেতনই তাকে দিতে হবে, এর বেশি নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।