আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্য রাতে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় বের হয়ে যদি দেখেন উঠোনে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক বিশাল সাইজের কুমির। তখন কি ঘটতে পারে কোন ধারণা করা যায়? শোরগোল করেও যখন তাড়ানো যায় না কুমিরটাকে। এরপর যা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরির অন্তর্গত মুন্না পুরওয়া গ্রামের বাসিন্দা রামদীন ও তার পরিবারের সঙ্গে।
জানা গেছে, রামদীন রাত ১টা নাগাদ প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠেছিলেন! ঘর থেকে বেরিয়ে উঠোনে নামতে যেতেই তার মনে হয় যে অন্ধকারে কী একটা বিশাল আয়তনের যেন একটু-একটু নড়াচড়া করছে!
ভয়ে তিনি আর উঠোনে নামার সাহস করেননি, ঘরের ভিতর ঢুকে টর্চ নিয়ে আসেন। তার পর আলো ফেলতেই দেখা যায় যে উঠোনে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশাল আয়তনের এক কুমির! রামদীনের ডাকে এর পর একে একে বাড়ির অন্য লোকেরাও ঘুম থেকে উঠে পড়েন, একে একে সবাই এসে জড়ো হন বারান্দায়। তারা প্রাথমিক ভাবে শোরগোল করে কুমিরটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাতে কাজ হয় না!
এর পর আর রামদীনের পরিবারের সদস্যেরা বাড়িতে থাকার ঝুঁকি নেননি, কোনো মতে বেড়া ডিঙিয়ে তারা প্রতিবেশীর বাড়ি চলে যান।
অন্য দিকে, খবর পেয়ে দলে দলে রামদীনের বাড়িতে এসে জড়ো হন গ্রামবাসীরা, তারা বন দফতরকে খবর পাঠিয়ে কুমিরটিকে ঘিরে বসে থাকেন। অবশেষে ভোর ৫টা নাগাদ বন দফতরের কর্মীরা এসে প্রায় ঘণ্টাখানেকের টানাপোড়েনের পরে কুমিরটিকে বন্দি করতে সক্ষম হন।
জানা গেছে, কুমিরটিকে নিকটবর্তী শারদা নদীতে ছেড়ে দিয়ে আসা হয়েছে!
বন দফতর এবং গ্রামবাসী উভয় তরফেই জানা যায়, যে নদীর ধারে গ্রাম হওয়ায় মানুষের ঘরে মাঝে মাঝেই হানা দেয় কুমির, এবার যেমনটা ঘটেছে রামদীন এবং তার পরিবারের সঙ্গে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।