জুমবাংলা ডেস্ক : একজনের পরিবর্তে আরেক অন্তঃসত্ত্বা নারীর জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বিরুদ্ধে। জিয়াসমিন আক্তার নামে ওই নারীর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লার কাছে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জিয়াসমিনের চাচা লুৎফর রহমান।
অভিযোগের সূত্র ও হাসপাতালে গিয়ে ওই ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গর্জনা এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে জিয়াসমিন আক্তার শারীরিক অসুস্থজনিত কারণে ২৪ জানুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসা চলছিলো ৫ মাসের গর্ভবতী জিয়াসমিনের। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডাক্তার নাসিমার নির্দেশে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ফাতেমা আক্তার জিয়াসমিনকে বেড থেকে নিয়ে যান। কর্তব্যরত ডাক্তার রুমা আক্তারের সহযোগিতায় জোরপূর্বক গর্ভপাতের চেষ্টা করান। এতে করে জিয়াসমিন অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ করা হয়।
হাসপাতালে দায়িত্বরত গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাসিমা আক্তার বলেন, ঘটনার সময় রাউন্ডে রোগী দেখছিলাম। বিষয়টি সম্পর্কে ডাক্তার রুমা ভালো বলতে পারবেন।
গাইনি বিশেষজ্ঞ রুমা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গাইনি ওয়ার্ডের ২০ ও ২১ নম্বর বেডে পাশাপাশি দুই জন গর্ভবতী রোগী রয়েছে। ২১ নম্বর বেডের রোগীকে ডিএন্ডসি করানোর কথা ছিল। সেভাবেই তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ফাতেমা বেগম ভুল করে ২০ নম্বর বেডের রোগীকে অপারেশন রুমে নিয়ে আসেন।
জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ফাতেমা নিখোঁজ। তাকে ফোনেও পাওয়া যায়নি।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ জানান, হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ২০ এবং ২১ নম্বর বেডে দুজন রোগী পাশাপাশি ছিল। ২১ নম্বর বেডের রোগীকে আনতে গিয়ে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ভুল করে ২০ নাম্বার বেডের রোগীকে নিয়ে গর্ভপাতের চেষ্টা করেন। রোগীর কান্নাকাটি শুরু করলে গর্ভপাত করাননি। এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।