স্পোর্টস ডেস্ক : ফল অপরিবর্তিত। প্রথম পর্বের মত ফিরতি পর্বেও পারলো না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। পার্থক্য একটাই, ১১ অক্টোবর প্রথম দেখায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল জিতেছিল ৪ উইকেটে, আর আজ শান্ত বাহিনীর কাছে রিয়াদ বাহিনীর পরাজয় রীতিমত লজ্জানক ব্যবধানে। ১৩১ রানের বড় ব্যবধানে হারলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অ্যান্ড কোং। বড় জয়ে হাসি মুখে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়লেন মুশফিক, আফিফ, ইরফান শুক্কুর আর নাসুম আহমেদরা।
আজ (শনিবার) প্রথম সেশনে শেরে বাংলার মরা পিচে হঠাৎ প্রাণের ছোঁয়া। চার ও ছক্কার ফুলঝুরি। আফিফ হোসেন ধ্রুব (৯৮), মুশফিকুর রহিম (৫২) আর ইরফান শুক্কুরের (৩১ বলে ৪৮*) ব্যাটে রানের ফলগুধারা। ২৬৪ রানের মোটামুটি বড় পুঁজি। শুধু রান করেছেন বলেই নয়, আফিফ আর ইরফান শুক্কুর দুর্দান্ত খেলেছেনও।
দুজনই রিয়াদ বাহিনীর বোলারদের শাসন করেছেন। সিনিয়র পার্টনার মুশফিকুর রহীমের সাথে সিঙ্গেলস নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট না হলে হয়ত সেঞ্চুরি করে ফেলতেন আফিফ। মাত্র ২ রানের আক্ষেপ এ তরুণের।
তারপরও একডজন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১০৭ বলে করা ৯৮ রানের ইনিংসটিই নাজমুল শান্তর দলকে শুরুর ধাক্কা সামলে বড়সড় পুঁজির ভিত গড়ে দিয়েছে। এছাড়া তরুণ ইরফান শুক্কুরও শেষ দিকে ঝড়ের বেগে ব্যাট চালিয়ে দলকে আড়াইশো পার করে দিয়েছেন।
৩১ রানে তিন উইকেট পতনের পর বিপদ কাটাতে দরকার ছিল একটি বড়সড় জুটির। সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন মুশফিকুর রহীম। ১৪৭ রানের লম্বা চওড়া জুটি গড়ায় কার্যকর ভূমিকা ঠিকই রেখেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তবে নিজের মত করে নয়। একদম স্ব-বিরোধী ব্যাটিং করে। প্রায় দ্বিগুণ বল খেলে, ৯৩ বলে ৫২ রানের ইনিংসটিতে ছিল একটি মাত্র বাউন্ডারি।
শনিবার দিনের বেলায় উইকেট অনেকটাই ভাল ছিল। ভাবা হচ্ছিল সন্ধ্যার পর শিশির পড়লে উইকেট আরও দ্রুত গতির হবে। পেসারদের বল পিচ পড়ে দ্রুত ব্যাটে আসবে। স্পিনারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হতে পারে।
কিন্তু জায়গামত কিছুই হয়নি। পিচ সন্ধ্যার পরে আরও সহজ হয়ে যাবার বদলে বরং একটু স্লোই হলো। খুব বেশি শিশির না পড়ায় স্পিনারদের বল ধরাতেও তেমন সমস্যা হয়নি। আর তাতে বরং নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনীর দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন হয়ে উঠলেন দুর্বার। আর তাতেই কম্ম-কাবার রিয়াদ বাহিনীর।
মাত্র ১৩৩ রানেই অলআউট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অ্যান্ড কোং। ওপেনার লিটন দাস (২৭ বলে ২৭) আর মিডল অর্ডার কাম উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান (৩৬ বলে ২৭) ছাড়া আর কেউ ২০-র ঘরেও পা রাখতে পারেননি।
বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ৭ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট দখল করে রিয়াদ বাহিনীকে দেড়শোর নিচে অলআউট করতে রাখেন অগ্রণী ভূমিকা। লেগি রিশাদ নেন ২৬ রানে ২ উইকেট।
দল জেতানো ব্যাটিং করে আর দিনের সবচেয়ে বেশি ৯৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা পারফরমার ও সেরা ব্যাটসম্যান দুটি পুরষ্কারই জিতে নিয়েছেন বাঁ-হাতি আফিফ। সেরা ফিল্ডার হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর দিনের সেরা বোলারের পুরষ্কার জিতেছেন লেগস্পিনার রিশাদ।
তবে সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা হলো, ওপেনার লিটন দাস, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর যুব বিশ্বকাপ বিজয়ী দলের মিডল অর্ডার মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট নিয়ে রিয়াদ বাহিনীর ব্যাটিং মেরুদন্ড ভেঙ্গেও বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ কোনোই পুরষ্কার পাননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।