স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল নজরকাড়া। শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ম্যাচে সম্পূর্ণ ভিন্ন বাংলাদেশকে দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। যা অনেক বেশি হতাশ করেছে দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডসকে। এভাবে শেষ করাটা তাঁর কাছে লজ্জার।
শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে মাশরাফিবাহিনী। এই ম্যাচে পাকিস্তানের দেয়া ৩১৬ রানের লক্ষ্যে ২২১ রানেই অলআউট হয়েছে সাকিব-তামিমরা। শেষ ম্যাচেও দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংসটি খেলেছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বাকিরা।
বাকি সবগুলো ম্যাচেই লড়াই করেছে মাশরাফির দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালের সম্ভাবনাও বাঁচিয়ে রেখেছিল তারা। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু পাকিস্তানের সর্বোচ্চটা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাঁর দল, বলেছেন রোডস।
শেষটা সন্তোষজনক না হওয়ায় হতাশ রোডস ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাকে হতাশ করেছে। আমরা সেই ম্যাচে সর্বোচ্চ লড়াইটা ধরে রাখতে পারিনি। কিন্তু আমার আট ম্যাচেই কঠোর লড়াই করেছি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি হতাশ করেছে কারণ আমরা দল হিসেবে ওইদিন খেলতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য লজ্জার এভাবে শেষ করা।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হেরে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু পাঁচে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারত সাকিব-তামিমরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয় বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে আট নম্বরে নামিয়ে দিয়েছে।
যদিও দলের অধিনায়ক পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয় নিয়ে হতাশ নন। কারণ সেমিফাইনালের স্বপ্ন অধরা রয়ে গেছে বাংলাদেশের। সেরা চার থেকে ছিটকে পড়ে বিশ্বকাপের উত্তেজনাই হারিয়ে ফেলেছে দল, বলেছেন মাশরাফি।
‘প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শেষ ম্যাচ জিততে পারলে হয়ত পাঁচে যাওয়ার সুযোগ ছিল। সবার আশা ছিল সেমিফাইনাল খেলবো। পাঁচে থাকলে হয়ত আলাদা জিনিস হতো। কিন্তু শেষ চারে যদি না থাকতে পারি এই বিশ্বকাপের মিনিং কিন্তু এখানেই শেষ।’ দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।