জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার চাটমোহরে ফেসবুক পেজ ‘চেতনায় চাটমোহর’র উদ্যোগে করোনা সচেতনতায় ব্যতিক্রমী সড়ক চিত্রাঙ্কন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার শুরু হওয়া ৫ দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। করোনাভাইরাস সম্পর্কে পথচলা মানুষকে সচেতন করার অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে অয়োজক তরুণরা জানান।
প্রথমদিন শুক্রবার চাটমোহর পৌর সদরের জারদিস মোড়ে শুরু হয় এ কর্মসূচি। রাস্তায় ছবি আঁকার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় করোনাভাইরাস সচেতনতা। এ সময় বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও শিশু-কিশোর এই কর্মসূচিতে একাত্নতা প্রকাশ করে নিজেদের হাতের ছাপ রেখে যান চিত্রাঙ্কনে অংশ নিয়ে। এছাড়াও দ্বিতীয় দিনে শনিবার পৌর সদরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় চিত্রাঙ্কন করা হয়।
এ কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহ দেন চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকতেখারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন ও সাইদুল ইসলাম পলাশ, বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান, চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কে এম বেলাল হোসেন স্বপন, সহ-সভাপতি শেখ জিয়ারুল হক সিন্টু, অরবিটল লিংক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক আব্দুল মতিন, আর্টিস্ট মিলন রবসহ অনেকে।
এছাড়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মধ্যে তারুণ্যের আলো, বিডি ক্লিন-চাটমোহর ও স্বপ্ন পক্ষ’র কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে। সেইসাথে বেশকিছু শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ছবি আঁকায় অংশ নেন। আর পুরো কর্মসূচি সমন্বয় করেন অংকন শিক্ষক মানিক দাস।
এ বিষয়ে ‘চেতনায় চাটমোহর’র অ্যাডমিন জেমান আসাদ জানান, ‘মানুষ অপ্রয়োজনে পথে বের হচ্ছেন। মুখে মাস্ক থাকছে না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। তাই পথচারীদের জন্য পথেই আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই সচেতনতার বার্তা। এ উদ্দেশ্যেই সড়ক সচেতনতার এই উদ্যোগ গ্রহণ। পথ চলতে চলতে মানুষ এই ছবি দেখে যেন নিজেকে অনুভব করেন। প্রাথমিকভাবে চাটমোহর পৌর সদরের পাঁচটি পয়েন্টে এই ছবি আঁকার কাজ করা হবে।’
কর্মসূচির সমন্বয়ক মানিক দাস বলেন, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো বিভিন্নভাবে মানুষকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও মানুষের মাঝে সচেতনতার বড় অভাব। আমরা চাই পথে চলা মানুষ আমাদের ছবি দেখে সচেতন হবেন, কিংবা সচেতন হওয়ার তাগিদা অনুভব করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।