জুমবাংলা ডেস্ক : সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে আদালতে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে বলা হয়, সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে খাসির মাংসই ছিল। কুকুর-বিড়ালের মাংস ছিল না। কনক লায়লা ও আবদুল হাকিম ইচ্ছাকৃতভাবে অপপ্রচার চালিয়েছিলেন।
সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। ঢাকা শহরে আমাদের ৯টি শাখা রয়েছে। চট্টগ্রামে আছে আরও দুটি শাখা। অথচ কনক লায়লা ও আবদুল হাকিম আমাদের কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন। এতে সুলতান’স ডাইনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, তদন্তে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসই ছিল। কিন্তু কনক লায়লা ও আবদুল হাকিম সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিতে কুকুর-বিড়ালের মাংস আছে বলে অপপ্রচার চালান, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের পরিবর্তে কুকুর-বিড়ালের মাংস দেওয়ার ‘মিথ্যা প্রচারণার’ অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি মামলা করেন সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে, গত ২ মার্চ সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখায় সাতটি হাফ (অর্ধেক) কাচ্চি বিরিয়ানি অর্ডার করেন যমুনা ব্যাংকের বনানী শাখার তৎকালীন কর্মকর্তা কনক লায়লা। সেদিন দুপুরে টাকা পরিশোধ করে তিনি খাবার নিয়ে যান। পরে তারা কাচ্চিতে খাসির মাংসের পরিবর্তে কুকুর-বিড়ালের মাংস দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।