জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় পার্টির (জাপা) ফান্ডে টাকা নেই। তাই চাঁদা তুলে পার্টির সদ্যপ্রয়াত চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চল্লিশায় গণভোজের আয়োজন করা হবে। আর এ জন্য পার্টির প্রত্যেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের এক লাখ টাকা করে চাঁদা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
এরশাদের ‘চল্লিশা’ উপলক্ষে সারাদেশে গণভোজের আয়োজন করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমীর কারণে ২৩ আগস্টের পরিবর্তে ৩১ আগস্ট এ চল্লিশা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি। ওই দিন বাদ জোহর সারাদেশে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া, আলোচনা সভা ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।
এদিকে সর্বশেষ পাওয়া সংবাদে জানা গেছে, এরশাদের মৃ’ত্যু পরবর্তী চল্লিশা জাঁকজমক ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালন করার পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে তার দল। ইতোমধ্যে প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতারা পৃথকভাবে বৈঠক করছেন। জানা গেছে, চল্লিশা উপলক্ষে প্রায় ১ কোটি টাকা চাঁদা উঠেছে।
দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, দলীয় এমপি এবং নেতা-কর্মীর চাঁদায় আগামী ৩১ আগস্ট প্রয়াত এই রাষ্ট্রনায়কের চল্লিশা সম্পন্ন হবে। সেদিন একযোগে সারা দেশে কর্মসূচি চলবে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর ও রংপুর মহানগরে মোট খরচ ধরা হয়েছে সোয়া কোটি টাকারও বেশি।
দলীয় সূত্র বলছে, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান নিজেই এরশাদের চল্লিশার জন্য ৫০ লাখ টাকা চাাঁদা দিয়েছেন।
রংপুর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইয়াসির জানান, পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙার কাছে ৫০ লাখ টাকার একটি চেক জমা পড়েছে।
চল্লিশা অনুষ্ঠান সফল করতে প্রয়োজনে সেলিম ওসমান আরো টাকা অনুদান দেবেন বলেও জানান তিনি। তবে এ ব্যাপারে সেলিম ওসমানের সঙ্গে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা বলেন, ‘দলীয় অনুদান কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তবে কে কত টাকা দিয়েছে এটা বলবো না। তবে ঢাকা ও রংপুরে চল্লিশায় খরচ ধরা হয়েছে সোয়া কোটি টাকা।’
চল্লিশায় সারা দেশে জেলা-উপজেলা -থানা ও ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নে কোরআন খতম, বিশেষ মোনাজাত এবং ঢাকা মহানগরে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে তেহারি বা খিচুড়ি বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগরে ২০ হাজার দুঃস্থ মানুষের জন্য খিচুড়ির আয়োজন করা হচ্ছে। এদিকে ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানায় ৫০টি গরু সরবারহ করার পরিকল্পনা শোনা যাচ্ছে। চল্লিশার জন্য প্রতিটি থানায় খরচ ধরা হয়েছে সোয়া লাখ টাকা। তবে প্রয়োজনের টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।