নিজেস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের ১১ পোশাক কারখানার ১৫ শ্রমিক করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন হাসপাতালে এবং ১০ জন হোম আইসোলেশনে।
গত ৮ মে পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ১০ জন, মঙ্গলবার পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। পরের পাঁচজনের মধ্যে তিনজন গাজীপুরে এবং দুজনের লালমনিরহাটে নমুনা পরীক্ষার পর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
কাশিমপুরের সাবাবো এলাকার পোশাক কারখানার এক শ্রমিক ৬ মে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেপিজে হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ হলে তিনি গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পালিয়ে যান। খবর পাওয়ার পর স্থানীয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া মসরুর গিয়ে তাদের বাড়িটি লকডাউন করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ওসি আলম চাঁদও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গাজীপুরের কাশিমপুর সাবাবো এলাকার একটি কারখানার ওই পুরুষ শ্রমিক নাগরপুর থানার গয়হাটা এলাকার পুগলি গ্রামে হোম আইসোলেশন রয়েছেন।
এদিকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এএসএম ফাতেহ্ আকরাম বলেন, তেলিহাটি এলাকার একটি কারখানার একজন শ্রমিক (৩০) কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। তিনি হোম আইসোলেশন রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায়।
গাজীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিন বলেন, করোনা পজিটিভ দুই পোশাক শ্রমিক টঙ্গীর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে, গাজীপুর সদরের বাঘের বাজার শিরিরচালা এলাকার দুই কারখানার চারজন পোশাক শ্রমিক (শিরির চালা) ওই এলাকিায় ভাড়া বাড়িতে এবং আরও দুইজন টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় হোম আইসোলেশনে আছেন। এই দুইজন টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত পোশাক কারখানার তিনজন শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনজনই আলাদা পোশাক কারখানার শ্রমিক। তাদের মধ্যে একজন আইসোলেশন সময় পার করে বাসায় চলে গেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।