জুমবাংলা ডেস্ক : ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে এসে মারধর এবং হেনস্তার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র সংসদের ভিপি (সহ-সভাপতি) কামাল উদ্দিন ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নরহাদ ফারহানা, থিয়েটার ও পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র রানা নাসের ও তার ছোট ভাই বাপ্পী। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফুলার রোডে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাদের উদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও চড়াও হয় কামালের অনুসারীরা।
ঘটনার বিষয়ে রানা নাসের বলেন, ‘ব্যক্তিগত কাজে আমার ছোটভাই বাপ্পীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসি। ফুলার রোডে তাদেরকে রেখে আরেকটি কাজে গেলে সেখানে ফারহানা ও বাপ্পীকে হেনস্তা ও মারধর করে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে আমি ঘটনাস্থলে আসলে শিক্ষার্থীরা হলের ভেতরে পালিয়ে যায়। দৌঁড়ে পালানোর সময় এক শিক্ষার্থী আমার হাতে আটক হয়। এর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে আসেন হল সাংসদের ভিপি কামাল। তিনি এসে জানতে চান, হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে কেন মারা হলো? পরে আমাদের সবাইকে হলের ভেতরে নিয়ে যান ভিপি কামাল। হলের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হলে আমি ও আমার ভাইকে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ফারহানাকে হেনস্তা করা হয়। ঘটনার সময় তাদের উদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আমাদের ওপরও চড়াও হয় কামালের অনুসারীরা। পরে প্রক্টরিয়াল টিম আমাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন।’
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী নরহাত ফারহানা বলেন, ‘গতকাল রাতে আমি ও রানার ছোট ভাই বাপ্পি ফুলার রোডে কথা বলছিলাম। এমন সময় কিছু শিক্ষার্থী আমাদের কাছে এসে বাপ্পিকে জিজ্ঞেস করে, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা। বাপ্পি কিছু বুঝে উঠার আগে কিছু বলতে না বলতেই ওই শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে।’
তবে নিজের মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ভিপি কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদেরকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে ক্যাম্পাসের কিনা। কিন্তু সে তিতুমীর হল বলায় তাকে থাপ্পড় মারা হয়। পরে রানা নাসের ভাই আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেখানে আমি উপস্থিত হয়ে ঘটনা শেষ করতে গেলে সেখানে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আমি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।