সাইফুল ইষলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের ঘিওরে ঘুষ দিয়েও প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা পাননি প্রকৃত ভূমিহীনরা।
জানা গেছে, ভূমিহীনদের সংগঠন ‘দরিদ্র উন্নয়ন ভূমিহীন সমবায় সমিতি’ এর পক্ষ থেকে গত ২০১৮ সালের ২রা আগস্ট তারিখে আবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঘিওর উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ শহিদ ইসলাম এবং নায়েব মোঃ ইদ্রিস আলী খাস খতিয়ানভুক্ত ভূমি পরিমাপ করেন এবং ভূমিহীনদের সংগঠনের টাকায় জায়গা চিহ্নিত করণে নিশান টাঙ্গানো হয়। ওই ভূমিহীন সংগঠনের সদস্যদের জায়গা দেয়ার প্রস্তাব (নং-৭) দেওয়া হলেও ওই নায়েব ও সার্ভেয়ার নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য অসহায় ভূমিহীন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুনরায় ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করান। অপরদিকে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আরডিসি স্বাক্ষরিত এক পত্রে দরিদ্র ভূমিহীন সমবায় সমিতির সভাপতির আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই সমিতির সদস্যদের অনুকুলে ঘিওর উপজেলার ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ভূমি বন্দোবস্ত’র বিষয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করা হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে, দরিদ্র উন্নয়ন ভূমিহীন সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ জানান, আমার সমিতির সদস্য ৭০ জন। এদের মধ্যে ৫০ জন সদস্যের কোন জায়গা ও বাড়ীঘর নাই। এরা অন্যের বাড়ী কিংবা রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করে। এমতাবস্থায় ভূমিহীনদের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে । সেই জায়গা পেতে সমিতির ২০ জন সদস্য ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। তিনি আরও জানান, জায়গা পেতে সমিতির পক্ষ থেকে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করেও জায়গা পাননি আমার সমিতির সদস্যরা। অথচ যাদের জায়গা ও ঘর আছে তারাই বাসস্থান পেয়েছে।
এ ব্যাপারে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আক্তার জানান, বিভিন্ন যাচাই-বাচাই শেষে ২৫ জন গৃহহীন পরিবারের মাঝে জায়গা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (আরডিসি) পিংকি সাহা বলেন, ঘিওরের ভূমিহীনদের সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। এর প্রেক্ষিতে ওই ভূমিহীন সংগঠনের সদস্যদের জায়গা বন্দোবস্ত পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।