জুমবাংলা ডেস্ক : বুড়িগঙ্গা বেয়ে চলছিল দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চ। বড়টি ‘ময়ূর-২’, ছোটটি ‘মর্নিং বার্ড’। সামনে ছিল মর্নিং বার্ড। পেছনে ময়ূর-২। একটির পেছনে আরকটি চলছিল কিছুক্ষণ। হঠাৎই পাহাড়সমান ময়ূরের ধাক্কায় প্রথমে কাত, পরে উপুড় হয়ে তলিয়ে যায় মর্নিং বার্ড। দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ থেকে বেঁচে ফেরা যাত্রী মো. মাসুদ জানান, মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই লঞ্চটি তলিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ঘটনায়।
তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারেও তৎপরতা চালাচ্ছেন নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এছাড়া মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।
সোমবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ বেরিয়েছে এরইমধ্যে। তাতে দেখা গেছে, এই মর্মান্তিক দৃশ্য। ঘটনার পর ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা থেকে সংগ্রহ করা হয় ওই ভিডিও। ইতোমধ্যেই এটি ভাইরাল হয়ে গেছে।
বুড়িগঙ্গা নদীর কেরাণীগঞ্জের ফরাশগঞ্জ ঘাটে কুমিল্লা ডক ইয়ার্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে আটজন নারী, তিনজন শিশু এবং ১৯ জন পুরুষ রয়েছেন। অভিযুক্ত লঞ্চ ময়ূরের চালক পলাতক রয়েছেন। ময়ূর সদরঘাট লালপট্টি থেকে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল।
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে প্রায় ১০০ জন যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকায় আসছিল। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ফরাশগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন কুমিল্লা ডক এরিয়ায় ময়ূর-২ লঞ্চ পেছনের দিকে ধাক্কা দিলে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায় মুহূর্তেই। প্রায় ১০০ জন যাত্রী ছিল ওই লঞ্চে। এরমধ্যে নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ৭০ জন। তা থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।