জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের টঙ্গীতে এক পুলিশ দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। মারধরের শিকার পুলিশ সদস্যের নাম মো. রিপন ও তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় কর্মরত রয়েছেন। আটক করা ব্যক্তির নাম সিফাত আহম্মেদ। সে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহম্মেদের ছেলে।
গতকাল রবিবার দুপুরে পুলিশ সদস্য রিপন তার স্ত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরীক্ষার শেষে হাসপাতালটির তৃতীয়তলার বারান্দায় প্রতিবেদনের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন এ দম্পতি। পাশেই চলছিল কোভিড-১৯-এর টিকা কার্যক্রম। পরে হাসপাতালটির পরিচ্ছন্নকর্মী (আয়ার) পুলিশ দম্পতিকে জুতা রেখে বারান্দায় দাঁড়াতে বললে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এরই একপর্যায়ে পাশে থাকা বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া স্বেচ্ছাসেবক কাউন্সিলরের ছেলে সিফাত, স্ত্রী শিউলী বেগম ও শ্যালিকা সাদিয়া সুলতানা ওই দম্পতিকে হাসপাতালটির একটি কক্ষে বন্ধ করে মারধর করে।
পুলিশ সদস্য রিপন বলেন, আমি আমার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালটির তৃতীয়তলায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আসি। পরীক্ষা শেষে রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় হাসপাতালটির এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী আমাদের জুতা খুলে বারান্দায় দাঁড়াতে বলে। জুতা না খুলে দাঁড়িয়ে থাকায় তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে আমি আমার পরিচয় দেই। পরিচয় পেয়ে পাশে থাকা রেড ক্রিসেন্টের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক ও কাউন্সিলের স্ত্রী, শ্যালিকা ও ছেলে আমাদের মারধর করে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহম্মেদ বলেন, এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি। বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে। টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মী নন। তার নাম পরিচয় আমার জানা নেই। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।