আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পার্লামেন্ট ভবনে নজিরবিহীন হামলায় সমর্থন এবং উস্কানি দেয়ায় বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাৎক্ষণিক ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। তার মতো মানুষ আর এক মুহূর্ত বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থাকা আরও বড় বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বোদ্ধারা। খবর আল জাজিরার।
এমনিতেই ক্ষমতার মেয়াদ প্রায় শেষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বাকি মাত্র ১৩ দিন। তবে এর আগেই হোয়াইট হাউস ছাড়তে হতে পারে তাকে।
একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে এবিসি নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশটির সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীর চতুর্থ ধারা কার্যকরের বিষয়ে আলোচনায় বসেছেন।
এছাড়া, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করে তার জায়গায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে দায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট সদস্য।
হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির সব ডেমোক্র্যাট সদস্যের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ করে দিয়েছেন, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল বাস্তবায়ন ও গ্রহণ করতে অক্ষম।
ডেমোক্র্যাটদের কথায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার দেখিয়েছেন, তিনি গণতন্ত্র রক্ষা এবং অফিসের দায়িত্ব পালনে অনিচ্ছুক।
ট্রাম্পকে ক্ষমতাছাড়া করার আহ্বান জানিয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠনও। ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশেন অব ম্যানুফ্যাকচারার্স নামে এ সংগঠনের সদস্য হিসেবে রয়েছে এক্সন মোবিল করপোরেশন, ফাইজার, টয়োটা মোটরসের মতো বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলো।
সংগঠনটির সভাপতি জে টিমনস বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা ধরে রাখার প্রয়াসে সহিংসতায় প্ররোচণা দিয়েছেন এবং যেসব নির্বাচিত নেতা তাকে সমর্থন দিচ্ছেন, তারা সংবিধান লঙ্ঘন করছেন ও নৈরাজ্যের পক্ষে গণতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এ ব্যবসায়িক নেতা আরও বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ২৫তম সংশোধনী আহ্বান জানানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।
ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসছাড়া করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির গণমাধ্যমকর্মীরাও। ওয়াশিংটন পোস্টের এডিটোরিয়াল বোর্ড বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে প্রেসিডেন্টের বিপুল ক্ষমতা থাকার প্রতিটি সেকেন্ড আইন-শৃঙ্খলা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
প্রায় একই কথা বলেছে মায়ামি হেরাল্ডও। পত্রিকাটি তাদের সম্পাদকীয়তে লিখেছে, তার (ট্রাম্প) কথাগুলো কোনও কুকুর ডাকার শিস ছিল না, এটা ছিল পুরোদমে যুদ্ধের আহ্বান। ট্রাম্প তার অ-আমেরিকান বক্তব্য এবং গণতন্ত্রবিরোধী কাজকর্মের মাধ্যমে এই বিদ্রোহে এমনভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেন তিনি নিজেই ক্যাপিটলে ঝড় তুলছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।