সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই প্রার্থীই সম্পদশালী। দুই প্রার্থীই ব্যবসায়ী, দুজনেরই শতকোটি টাকার ব্যবসায়িক ঋণ আছে। ১লা ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সাথে প্রার্থীদের দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে আর্থিক অবস্থার এ চিত্র পাওয়া গেছে।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে উপনির্বাচনে জিতে মেয়র হওয়া আতিকুল ইসলাম এবারো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন কমিশনে তাঁর জমা দেয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে,
তৈরি পোশাক খাতের বড় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম বি কম পাস। সব মিলিয়ে তার ৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এই ব্যবসায়ীর হাতে নগদ আছে ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫৩ টাকা। ১৬টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক বা অংশীদার তিনি।
গত এক বছরে আতিকের বার্ষিক আয় বেড়েছে ২০ লাখ টাকা। কৃষি, বাড়ি বা দোকান ভাড়া, ব্যবসার পারিতোষিক, ব্যাংক সুদ ও মৎস্য খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩৫ টাকা। স্ত্রীর বার্ষিক আয় ২২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রীর ২ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার ৬৫৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ, ৩০ ভরি সোনা এবং ৮২ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ আছে।
আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা পরিচালক হওয়ার সুবাদে তিনটি বেসরকারি ব্যাংকে ৫৯১ কোটি ৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। তাঁর নামে কোনো মামলা নেই।
উত্তরে বিএনপির প্রার্থী ব্যবসায়ী তাবিথ আউয়াল। তিনি ইনফরমেশন সিস্টেমস টেকনোলজির ওপর এমএসসি ডিগ্রি নিয়েছেন। ব্যবসায়ী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর বড় ছেলে তিনি।
গত পাঁচ বছরে তাবিথের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, আয় ও সম্পদ বেড়েছে। বেড়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণও। ২০১৫ সালে যখন তাবিথ মেয়র পদে নির্বাচন করেছিলেন, তখন তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল ১৭ টি। এখন ৩৭ টি। বিভিন্ন খাত থেকে তাবিথের বার্ষিক আয় ৪ কোটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৯১ টাকা। তাবিথের ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৮ হাজার ৩১৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। পাঁচ বছর আগের তুলনায় তাবিথের সাড়ে ১৪ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে।
স্ত্রীর নামে আছে ৪ কোটি ৬০ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালক হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর ঋণ আছে ৩০২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে তাঁর এ ধরনের ঋণ ছিল ১৭৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। কোনো মামলা নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।