জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় তালাক না মানায় লাবনী খাতুন (৩১) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে জখম করেছেন তার স্বামী পলাশ সরকার। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরের দিকে নির্যাতিত নারীর ভাই ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নে মফিজ উদ্দিন সরকারের ছেলে পলাশ সরকারের সঙ্গে প্রায় ১৬ বছর আগে উপজেলার আনারপুর গ্রামের আজহার আলীর মেয়ে লাবনী খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তান জন্মের পর পলাশ সরকার জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে যান। পলাশ সরকার সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরে এসে তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করেন।
যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় লাবনী খাতুনের ওপর শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন পলাশ। নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে লাবনী খাতুন তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বাবার বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হয় লাবনী খাতুন। এ ঘটনায় পলাশ সরকার লাবনী খাতুনকে তালাক দেন। কিন্তু তালাকের চিঠিতে সম্মতি না জানানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পলাশ সরকার।
আজ সোমবার বিকেলের দিকে পলাশ সরকার ও তার লোকজন লাবনী খাতুনের বাবার বাড়িতে যান। এ সময় পলাশ লাবনীকে মারপিট করে কৌশলে সটকে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন লাবনী খাতুনকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় লাবনীর ভাই ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে পলাশ সরকারসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পলাশ সরকার বলেন, ‘সংসারে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি। তাকে মারপিটের ঘটনা সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।’
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘গৃহবধূকে মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।