জুমবাংলা ডেস্ক : জয়পুরহাটের সদর থানায় হাজির হয়ে নিজের বাল্যবিয়ে নিজেই ঠেকাল নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। বুধবার (২৬ মে) জেলার সদর থানায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জয়পুরহাট শহরের স্বনামধন্য একটি স্কুলের নবম-শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার দুই বান্ধবী বুধবার (২৬ মে) সদর থানায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে জানায় যে, তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এমনকি জোরপূর্বক বৃহস্পতিবার (২৭ মে) তাকে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ করবে তার অভিভাবকরা।
এমন বক্তব্য শুনে তাৎক্ষণিকভাবে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান ওই ছাত্রীর বাসায় যোগাযোগ করে অভিভাবকদের ডেকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্বন্ধে অবগত করেন। এ বিষয়গুলো শুনে অভিভাবকরাও বিয়ে না দিয়ে পড়ালেখা করিয়ে মেয়েটির ভবিষ্যৎ জীবন গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
এ ব্যাপারে সাহসী ওই স্কুল ছাত্রী বলেন, আমি অনেক আগে থেকেই বাল্যবিয়ের কুফল সম্বন্ধে জেনে এসেছি। তাই আমি এই কাজটি আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই অনেকটা সাহসের সঙ্গে সমাধান করলাম। এছাড়াও শহরের কোনো এক জায়গায় বিট পুলিশিং সমাবেশে আমি জানতে পেরেছি যে, বাল্যবিয়ে একটি অপরাধ। বাল্যবিয়ে মাধ্যমে একজন মেয়ের জীবন ধ্বংস হয়। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আইন আছে। আর এ রকম তথ্যের ভিত্তিতেই আমি আমার দুজন বান্ধবীকে নিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে নিজেই থানায় হাজির হয়ে ওসি সাহেবকে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর অভিভাবকরা বলেন, আমরা জেনে শুনেই বড় ধরনের একটা ভুল করতে যাচ্ছিলাম। মেয়ের বুদ্ধি আর বিচক্ষণতায় অবশেষ সেটি থেকে রক্ষা পেলাম।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান বলেন, সাহসী একটি পদক্ষেপের কারণেই আজ বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল একটি অল্প বয়সী মেয়ে। এমন সাহসী মেয়েরা এভাবে এগিয়ে আসলে আমাদের সমাজ থেকে একদিন বাল্যবিয়ে নামক ব্যাধিটি হারিয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।