আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দখলদার ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মিসর, ফ্রান্স, জার্মানি এবং জর্ডান। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অংশ দখল নিয়ে মঙ্গলবার এই চার দেশ জানিয়েছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে। বিষয়টি নিয়ে বিবৃতিতে দিয়েছে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও।
ইউরোপের অধিকাংশ দেশ পশ্চিম তীরের অধিকৃত কিছু অংশ, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া একটি চুক্তির অংশ, তা ইসরায়েলের দখল করার পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে। ভিডিও কনফারেন্স শেষে ইউরোপীয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, আমরা একমত যে ১৯৬৭ সালে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং তা শান্তি প্রক্রিয়ার ভিত্তি নষ্ট করে দেবে। তারা আরো বলেন, ১৯৬৭ সালের সীমান্তের এমন কোনো পরিবর্তন যাতে উভয়পক্ষের সম্মতি নেই তাতে আমরা স্বীকৃতি দেব না। এতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কেও প্রভাব পড়বে।
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, কী করে আবারো ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে আলোচনা শুরু করা যায় সে ব্যাপারে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে ইসরায়েলের মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ দুই সহযোগী রাষ্ট্রও রয়েছে।
তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। কিন্তু একটি পৃথক বার্তায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তিনি সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে এই অঞ্চলে ট্রাম্পের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার প্রতি তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা, যা সৃজনশীল এবং বাস্তবসম্মত, তার ভিত্তিতে ইসরায়েল আলাপ-আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।