জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর বাঘায় দুই গ্রামের দুটি লাউয়ের মাচার দুটি বোঁটায় দোল খাচ্ছে ৪৬টি লাউ।
এক গ্রামের একটি মাচায় দেখা গেছে এক বোঁটায় দোল খাচ্ছে ছোট বড় ২৬টি লাউ। অপরদিকে আরেক গ্রামের অপর মাচার এক বোঁটায় ২০টি লাউ দোল খাচ্ছে।
এতো লাউ ধরার চাঞ্চল্যকর খবর পেয়ে সেই দুইগ্রামে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে উৎসুক জনতার।
এক বোঁটায় ছোট বড় ২৬টি লাউ ধরেছে উপজেলার বাউসা মাঠপাড়া গ্রামের সাকবর আলীর বসতবাড়ির সাপরা ঘরের পাশে লাগানো একটি লাউ গাছে।
আর একই উপজেলার সোনাদহ গ্রামের আমজাদ হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো লাউ গাছের এক বোঁটায় ধরেছে ছোট বড় ২০টি লাউ।
এরইমধ্যে সেই দুই গ্রামের লাউগাছ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান।
বৃহস্পতিবার মাঝপাড়া গ্রামের সাকবর আলীর জানান, গত বছর স্থানীয় বাজার থেকে হাইব্রিড লাউয়ের বীজ এনে রোপণ করেন তিনি। সেই গাছের লাউ থেকে বীজ সংগ্রহ করেন তার স্ত্রী নীলা খাতুন। পরে সেই বীজ চলতি বছরে ফের রোপণ করলে গাছে শতাধিক লাউ ধরে। কিন্তু হঠাৎ করেই তার নজরে আসে এক বোঁটায় ধরা ২৬টি এই অস্বাভাবিক লাউ।
সোনাদহ গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, তিনিও স্থানীয় বাজার থেকে বীজ কিনে রোপণ করেছেন। সঠিক পরিচর্যায়, লাউ গাছে প্রথম থেকে যথেষ্ট পরিমাণে লাউ ধরেছে। এর মাঝে লাউ গাছের এক বোঁটায় (ডগায়) ধরেছে ২০টি লাউ। একটি বোঁটায় এতগুলো লাউ ধরায় নরম কাপড় দিয়ে বোঁটি (বোটা) শক্ত করে বেঁধে দিয়েছি। গত কয়েকদিনে ওই বোঁটা থেকে কয়েকটি লাউ খাওয়া হয়েছে।
দর্শনার্থী অধ্যক্ষ সামরুল হোসেন জানান, গাছটির একটি বোঁটা থেকে ছোট-বড় মিলিয়ে একটিতে ২৬টি আরেকটিতে ২০ লাউ ধরেছে, যা সত্যিই বিস্ময়কর ঘটনা।
দূর্গাপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. ওয়াহিদা খাতুন বলেন, উদ্ভিদের ভেতরে কোষগুলো অস্বাভাবিক নিউটেশনের কারণে অস্বাভাবিকভাবে ফুল ও ফল আসে। যার ফলে উদ্ভিদের অংশ বিশেষে ফুল ও ফলের আধিক্য ঘটে। এটা কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়, এমনটা হতেই পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, দুই পাতার দূরত্ব কমে যাওয়ায় হরমোনিক কারণে অল্প জায়গা এমন গুচ্ছ লাউ ধরে থাকতে পারে। গাছটিতে নারী ফুলের সংখ্যা বেশি থাকাও কারণ হতে পারে। তারা ওই বীজ থেকে গাছরোপণ করে গবেষণা পরিচালনা করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।