জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁয় একটি দোকান ঘরের তালা ভেঙে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা (৩০ কেজি ওজন) চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের মাদারমোল্লা বাজারের খলিলের দোকান থেকে চালগুলো উদ্ধার করা হয়। খলিল একজন ব্যবসায়ী। ইলশাবাড়ি গ্রামে তার বাড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার থেকে চন্ডিপুর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল কার্ডধারীদের মাঝে বিক্রি শুরু হয়। ইউনিয়নের মাদারমোল্লা বাজারের ডিলার রুহুল আমিন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল কার্ডধারীদের মাঝে বিক্রি করেন। কিন্তু সুবিধাভোগীরা ১০ টাকা করে চাল উত্তোলন করার পর ব্যবসায়ী খলিলের কাছে বিক্রি করে দেন। খলিল চালগুলো তার দোকানে রেখে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
মঙ্গলবার গোপন সংবাদে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যায়। দোকান মালিক খলিলকে বার বার ফোন দিয়েও সাড়া না মিলায় অবশেষে তালা ভেঙে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) দুলাল হোসেন বলেন, এখানকার ডিলার রুহুল আমিন। সোমবার থেকে তিনি চাল বিক্রি শুরু করেছেন। যারা কার্ডধারী তারা ডিলারের কাছ থেকে চাল কিনেছেন। পরে মুদি দোকানি খলিল সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে চালগুলো কিনে দোকানে রাখেন। আমি চাল বেচাকেনার জন্য সবাইকে নিষেধ করেছিলাম। কে শোনে কার কথা।
সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। দোকান মালিককে বার বার ফোন দিয়েও কোনো সাড়া দেননি। পরে ইউএনওকে অবগত করার পর দোকানের তালা ভেঙে চালগুলো উদ্ধার করা হয়। চালগুলো কোথায় থেকে এসেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। আমরা ভোক্তাকে ব্যবহারের জন্য চাল দিয়েছি। কোথাও বিক্রির জন্য নয়। চাল ক্রয় এবং অবৈধ মজুত দুটোই অপরাধ।
নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, দোকান ঘর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালগুলো উদ্ধার এবং দোকানটি সিলগালা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।