বর্তমানে আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে মানুষ পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় পা ফেলতে সক্ষম হয়েছে। ভ্রমণবিলাসী মানুষ দুনিয়ার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে বেরিয়েছে। তবে বঙ্গোপসাগরে এমন এক দ্বীপ রয়েছে যেখানে মানুষ গেলে আর ফিরে আসে না। এ কথাটি শুনে আপনি হতভম্ব হয়ে যেতে পারেন। এটিকে নর্থ সেনটিনেল দ্বীপ বলা হয়।
এখানে আজ পর্যন্ত সফলভাবে মানুষ ভেতরের দিকে প্রবেশ করতে পারেনি। যারা ভুল করে পা ফেলেছিল তাদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে। ভৌগলিকভাবে এটি ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এই দ্বীপটির উপর ভারতের কোন কতৃত্ব নেই।
এই দ্বীপ সম্পর্কে ভারত সরকার অনেক চেষ্টা করে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। এখানকার আদিবাসীরা ৭০০০ বছর ধরে দ্বীপটিতে বাস করছে। সে হিসেবে এখানকার আদিবাসীরা পৃথিবীর সবথেকে প্রাচীন একক নৃতাত্ত্বিক অধিবাসী।
তারা মাছ শিকার করে বেঁচে থাকে। তাছাড়া অনেক বন্যপ্রাণী শিকার করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। কৃষিভিত্তিক উদ্ভাবনের কোন নজির মেলা না এখানে। কিভাবে আগুন জ্বালাতে হয় সেটাও তারা জানে না।
তাদের ভাষার নাম দেওয়া হয়েছে সেন্টিনেলি ভাষা। ধারণা করা হয় তাদের পূর্বপুরুষরা আফ্রিকা থেকে এখানে এসেছিল। সম্ভবত এটাই পৃথিবীর শেষ আদিবাসী আবাসস্থল যেখানে আধুনিক সভ্যতা পৌঁছাতে পারেনি।
১৯৭৩ সালে এক গবেষক দল এখানে এসে পৌঁছেছিল। কমন ভাষা বুঝতে পারে এরকম তিন জনকে সঙ্গে নিয়ে নেওয়া হয়েছিল যেনো উভয় পক্ষের বোঝাপড়া সহজ হয়। কিন্তু তারা ছিল অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তারা বহিরাগতদের একদমই সহ্য করতে পারে না।
মার্কিন এক ধর্মযাজক খৃষ্ট ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এ নিষিদ্ধ দ্বীপে পাড়ি জমান। তাকে তীর ছুড়ে হত্যা করা হয়। তারা কাউকে হত্যা করলে সে মৃতদেহ বাশের সঙ্গে বেঁধে সমুদ্রের তীরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে তারা বহিরাগতদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।