নীলফামারী প্রতিনিধি: বাল্য বিবাহ নিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী। এ বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশাজীবীসহ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী, ধর্মীয় নেতা, গ্রাম পুলিশ এবং অবিভাবকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, এজন্য প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় পাশে থাকবে এ কাজে। শুধু আইন প্রয়োগ করে এটি বন্ধ করা সম্ভব নয়।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে জেলা শহরের বারইপাড়ায় আরডিআরএস প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পের পর্যালোচনা ও এ্যাডভোকেসি সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, ইউনিসেফের রংপুর অফিস প্রধান নাজিবুল্লাহ হামিম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
এতে জানানো হয়, রংপুর বিভাগের মধ্যে তুলনামুলক বেশি বাল্য বিবাহ হয় নীলফামারীতে। দারিদ্রতা, নিরাপত্তা, প্রেম ছাড়াও বাল্য বিবাহ আইন সঠিক ভাবে প্রয়োগ না হওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে।
এজন্য ইউনিসেফের সহযোগিতায় জেলার ডোমার, ডিমলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ২০১৮সালের জুন থেকে ২০২০সালের জুন পর্যন্ত ‘বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় ১৫০টি কিশোর কিশোরী ক্লাব গঠন করে ২১টি বাল্য বিবাহ বন্ধ এবং ১২৫টি উদ্যোগ বন্ধ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, দিনের বেলা সুর্যের আলোতে বিয়ে সম্পন্ন এবং ইউনিয়ন পরিষদে নিকাহ রেজিস্টারের অফিস স্থাপন করা হচ্ছে। এই অফিসে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
আরডিআরএস’র পরিচালক (ফিল্ড অপারেশনস) হুমায়ুন খালেদের সভাপতিত্বে এতে প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও ফলাফল উপস্থাপন করেন ইসিএমএই প্রকল্পের সমন্বয়কারী গোলাম মেহেদী।
অন্যান্যের মধ্যে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইমাম হাসিম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুন্নাহার শাহজাদী, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন, অগ্রযাত্রা কিশোর কিশোরী ক্লাবের সভাপতি জেসমিন আকতার জুই বক্তব্য দেন।
আয়োজক সংস্থা আরডিআরএস সুত্র জানায়, কিশোর কিশোরী ক্লাব গঠন, দক্ষতা উন্নয়ন মুলক প্রশিক্ষণ, কমিউনিটি মোবিলাইজেশন এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নে এ্যাডভোকেসি সভা করা হচ্ছে তৃণমুল পর্যায়ে।
জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, গণমাধ্যম কর্মী, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৫০ জন অংশগ্রহণ করেন এতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।