নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীতে ‘মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বয়ঃসন্ধিকালীন শিক্ষা ও সেবা কর্মসূচি’র উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজে ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচন করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান।
এরআগে শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।
এতে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মণ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, ডিমলা উপজেলার আবিউন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিরা আকতার, কিশোরগঞ্জ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী নাজনিন উর্মি এবং ইএসডিও’র জানো প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক পর্শিয়া রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুপম মহসিন রেজা।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমাদের মোট জনসংখ্যার এক চর্তুথাংশ কিশোর-কিশোরী। এদের শিক্ষা, জীবন-দক্ষতা ও স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করছে আমাদের দেশের ভবিষ্যত।
তিনি বলেন, কিশোরীরা এখনো অসেচতনায় রয়েছে। বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে তারা অস্বস্তিতে থাকে এবং অন্তত চার-পাঁচ দিন স্কুলে উপস্থিত হতে পারে না। এরফলে পিছিয়ে পড়ছে পাঠ্যক্রম থেকে। তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান এবং প্রতিষ্ঠানে কর্নার খোলা হচ্ছে। এ থেকে উপলদ্ধি হবে তাদের। এজন্যই এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার বয়ঃসন্ধিকালীন শিক্ষা ও সেবা প্রদানের লক্ষ্যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নীলফামারীতে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা ব্যতিক্রম এবং মডেল। যা গোটা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ যে উন্নয়নের রোড মডেল করেছেন তার উদাহরণ নীলফামারী জেলা। এখান থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। যার একটি উদাহরণ এই কর্মসূচি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক(প্রশাসন) খলিলুর রহমান, মহাপরিচালক-১ সালাহ উদ্দিন, গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক আশরাফ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সুত্র জানায়, জেলায় ৪৬০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে মাধ্যমিক ২৯০টি, মাদরাসা ১২৫টি এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪৫টি। এসব বিদ্যালয়ে বয়ঃসন্ধিকালীন কর্নার স্থাপন করে কিশোরীদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।