আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার শর্ত অনুযায়ী স্থাপিত পর্যবেক্ষণ ক্যামেরাগুলো নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে দেশটির আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মাদ ইসলামি। তিনি বলেছেন, পরমাণু সমঝোতার অন্য পক্ষগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে তার সংস্থা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। খবর পার্সটুডে’র।
মোহাম্মাদ ইসলামি বুধবার ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির বৈঠকে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র আইন ও সেফগার্ড চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের অন্যান্য দেশের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে যেসব ক্যামেরা বসানো রয়েছে ইরানের স্থাপনাগুলোতেও সেরকম ক্যামেরাগুলোকে সক্রিয় রাখা হয়েছে। তিনি জানান, তবে ২০১৫ সালে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করার পর যেসব অতিরিক্ত ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল সেগুলোকে অন্য পক্ষগুলোর শর্তভঙ্গের কারণে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, ইরানের পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইন অনুযায়ী দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোতে আইএইএ’র পর্যবেক্ষণ সীমিত করে ফেলা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র আইএইএ’র সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত সেফগার্ড চুক্তি অনুযায়ী সীমিত পরিসরে পর্যবেক্ষণ কাজ চলছে। ওই চুক্তির বাইরে সব ধরনের পর্যবেক্ষণ বন্ধ করে দিয়েছে তেহরান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।