জুমবাংলা ডেস্ক : মালিকের পাওনা টাকা পরিশোধ না করে উল্টো নিজেই আত্মগোপনে থেকে বাবাকে দিয়ে মিথ্যা অপহরণ মামলা করে পাওনাদার মালিকের বিরুদ্ধে। মিথ্যা মামলায় লিলি মার্কেটিং কম্পানি লিমিটেডের মালিক সোহাগকে কারাগারে পাঠিয়ে নিজে অন্য কম্পানিতে চাকরি করছেন যথারীতি। মিথ্যা ও সাজানো অপহরণ মামলা দায়েরের দুই মাস পর অপহৃত আতিকুল ইসলাম আতিককে (২৩) বুধবার ঢাকার নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার ভুলতা এলাকার এনজেড টেক্সটাইল গ্রুপ লিমিটেডে কর্মরত অবস্থায় উদ্ধার করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
অপহৃত আতিকুল ইসলাম আতি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুরিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের নেজাব আলীর ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, অপহৃত আতিক প্রায় ৯ মাস পূর্বে লিলি মার্কেটিং কম্পানি লিমিটেডের নেমপ্লেট, চাবির রিং, মুকপান, প্লাস্টিক আইডি কার্ড, স্কুল, ব্যাগসহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরিকৃত প্রতিষ্ঠানের সিরাজগঞ্জে মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চাকরি করা অবস্থায় মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করে আতিক জান্নাতুল মার্কেটিং কম্পানি নামে একটি কম্পানি খুলে পণ্য বাজারজাত শুরু করেন। বিষয়টি লিলি মার্কেটিং কম্পানির মালিক সোহাগ জানতে পারলে আতিকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার বাগবিতণ্ডা হয়। ফোনের কথোপোকথন রেকর্ড করে পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে আতিক নিজে আত্মগোপনে থেকে লিলি মার্কেটিং কম্পানির মালিকের নামে এ বছরের ২০ জানুয়ারি তার পিতা নেজাব আলীকে বাদী করে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২৬ জানুয়ারি কম্পানির মালিক সোহাগকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে একাধিকবার অপহৃত আতিক ঢাকায় কর্মরত আছেন এমন তথ্য বার বার সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে দিলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তা আমলে নেননি। কোনো উপায় না পেয়ে ঘটনাটি পিবিআইয়ের পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে সোহাগের পরিবার। পরবর্তীতে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিবিআই টিম নিশ্চিত হয়, অপহৃত আতিক নারায়গঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন ভুলতা এলাকায় অবস্থান করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (২১ এপ্রিল) ভুলতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এন জেড টেক্সটাইল গ্রুপ লিমিটেডে কর্মরত অবস্থায় আতিককে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার অপহৃত আতিককে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, লিলি কম্পানি লিমিটেডের মালিক সোহাগকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্যই নিজে আত্মগোপনে গিয়ে তার পিতাকে দিয়ে অপহরণ নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরো জানান, অপহরণের নাটক সাজানো ও একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে মামলা দিয়ে জেলে রাখার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।